গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিয়মিত পাঠদান, ল্যাবরেটরীর যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচীর ৫ ঘন্টা পর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মসূচী তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা ।
বুধবার বেলা সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা তাদের দাবীর স্বপক্ষে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয়। এছাড়া তারা ওই সড়কের সব ধরনের যানবহন চলাচল বন্ধ করে দিলে ভোগান্তিতে পড়ে জেলা প্রমাসকের কার্যলয়ে আসা মানুষের।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারী ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৬৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্যে দিয়ে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল টেকনোলজি কোর্সের যাত্রা শুরু করে টুঙ্গিপাড়ায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি।
ওই বছরের ১৭ মার্চ ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কারনে ইনস্টিউট বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
এরপর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আরো ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। কিন্ত ইনস্টিটিউটে ল্যাবরেটরি ও ফার্মেসী অনুষদে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় তারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেনা। এছাড়া অসবাবপত্র ও ল্যাবরেটরীর যন্ত্রপাতির অভাবে লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইনস্টিটিউটে কোন অধ্যক্ষ নেই। একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্বে থাকলেও তিনি শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা সমাধানে তিনি আন্তরিক নন। ফলে চরম হতাশার মধ্যে তাদের দিন কাটছে ওই শিক্ষার্থীদের।
ইনস্টিউটের প্রথম ব্যাচের ল্যাবরেটরী অনুষদের শিক্ষার্থী অমৃত লাল বলেন, ভর্তির পর তাদের মাত্র ২১টি ক্লাস নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ইনস্টিটিউট খুললেও এপর্যন্ত কোন ক্লাস নেওযা হয়নি। এছাড়া প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় ৪৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেই। গোপালগঞ্জে পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ার কথা থাকলেও আমাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে (ম্যাটস্) গিযে পরীক্ষা দিতে হয়। আমাদের পরীক্ষার তেমন কোন প্রস্তুতি না থাকায় বাধ্য হয়ে সকলেই ফাঁকা খাতা জমা দিয়েছি ।
ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ বর্মন বলেন, আমরা লেখাপড়া শিখতে এসেছি। শিক্ষকের অভাবে আমাদের ক্লাস করতে পারিনি। আসবাবপত্র ও ল্যাবরেটরীর যন্ত্রপাতি না থাকায় ব্যবহারিব ক্লাস করার কোন সুযোগ নেই। আমরা আমাদের লেখাপড়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশার মধ্যে সময় পার করছি। আমাদের সমস্য সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বুদবার আমরা এখানে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। জেলা প্রশাসাক সাহিদা সুলতানা আমাদের সাথে বৈঠক করে আশ্বস্থ করেছেন । এই প্রতিশ্রæতি বাস্তবায় না হলে আমরা পরবর্তিতে আরো বড় কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবো ।
ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. কাজী এনামুল হক বলেন, শিক্ষক সংকট, আসবাবপত্র ও ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যবহারি ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে বিষয়টি সমাধান হওয়া জরুরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন