মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রবাসী ভাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার কুবি শিক্ষার্থী

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৩১ পিএম

কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভাইয়ের করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন আবু মুসা নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি আইন বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সদর হাসপাতালের কর্মচারীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে হাসপাতালের প্রবাসী করোনা টেস্ট বুথে তার বড় ভাইকে নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়ায়। এসময় আউটসোর্সিং কর্মীরা টাকার বিনিময়ে সিরিয়ালের বাহিরে অনেকের করোনা টেস্ট করিয়ে দেন। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের সিরিয়াল আসলে আউটসোর্সিং কর্মীরা জানায় কুমিল্লা জেলার বাহিরে কোন লোকের করোনা টেস্ট করানো হয়না। যদিও প্রথমে তারা জানায় টেস্ট করানো হবে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানালে দায়িত্বরত কর্মীরা প্রথমে কলার চেপে ধরে এবং বাঁশ নিয়ে মারধরের জন্য এগিয়ে আসে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা বলেন, ‘আমার বড় ভাই আগামীকাল সৌদি আরব যাওয়া জন্য টিকিট কেটেছে। সেজন্য করোনা টেস্ট করাতে সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি যারা সকাল থেকে করোনা টেস্ট করানোর জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে তাদের অতিক্রম করে টাকার বিনিময়ে অন্যরা টেস্ট সম্পন্ন করতেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় কর্মীরা আমাকে মারতে আসে। পরে বিষয়টি মোবাইলে ধারণ করতে গেলে আমার ফোন কেড়ে নেয় এবং আমার কলার চেপে ধরে। এক ঘণ্টা পরে আমি এবং লাইনে দাঁড়ানো অন্যদের অনুরোধ ভিডিও ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দেয়। পরে বিষয়টি সংবাদ কর্মীদের জানালে তারা সমাধান করার জন্য ডেকেছে এবং আমাকে ১৫০০ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও একই ঘটনা ঘটেছে আরেকজন শিক্ষার্থীর সাথে। আমি ওই শিক্ষার্থীর সাথেও কথা বলেছি। সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলব এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। পাশাপাশি আজকের ঘটনায় জড়িতের শাস্তির আওতায় আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা দিতে গেলে বা অন্য কোন কাজে গেলে হেনস্তার শিকার হবে এটা খুবই দুঃখজনক।

প্রসঙ্গত, এর আগে গেল বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে টিকাকর্মীর হাতে হেনস্তার শিকার হন একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী সারাফাত সিজান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন