শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:৫৬ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে হেনস্তা ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুই শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দিয়েছেন বলে জানা গেছে। একই ঘটনায় তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ তাঁর স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি কয়েকজন অছাত্র অবৈধভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ওঠার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ২০১৬ সালে নিহত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার আসামি স্বজন বরণ বিশ্বাস ও আত্মস্বীকৃত খুনি এবং ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকারকারী বিপ্লব চন্দ্র দাসও ছিলেন। এরকম আসামি হলে ওঠার চেষ্টা করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভীতি সৃষ্টি হয়। এসময় অমিত দত্ত নামের এক শিক্ষক অছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হলের শিক্ষার্থীদের সাথে উচ্চবাচ্য ও তাদের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন। সেসময় আমি এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে প্রত্যুত্তরে সেই শিক্ষক আমাকে মারতে তেড়ে আসেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

ওই শিক্ষকের এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তিনি সালমান চৌধুরী হৃদয়ের দিকে মারমুখি ভঙ্গিতে তেড়ে যান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে পৃথক আরেক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন ৪র্থ বর্ষের এ শিক্ষার্থী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অমিত দত্ত বলেন, 'কারা কিসের ভিত্তিতে অভিযোগ দিয়েছে আমি জানি না৷ আমার বরাবর এখনো কিছু আসেনি।'

অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়ে উপাচার্যকে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকেও।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমরা প্রক্রিয়া মেনে উপাচার্যের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেব।

এদিকে একই ঘটনায় উভয় শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ০১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত অভিন্ন দু'টি চিঠিতে সালমান ও এনায়েতের বিরুদ্ধে প্রক্টরিয়াল বডির কর্তব্য পালনে বাধা, শিক্ষককে হেনস্তা, অছাত্রসুলভ আচরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করার অভিযোগ আনা হয়। এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

নোটিশপ্রাপ্ত এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্টো ওই শিক্ষক আমাকে হেনস্তা ও লাঞ্চিত করেছেন। আমি উপাচার্য বরাবর লিখিত দিয়েছি। আশা করি তিনি এর সুষ্ঠু বিচার করবেন।

সালমান চৌধুরী বলেন, নোটিশে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বারবার প্রশাসন বরাবর আবেদন করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বহিরাগতদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের ইন্ধনেই বহিরাগতরা হলে ঢুকে রুমের তালা ভেঙ্গেছে। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক সহকারী প্রক্টর আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন