রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ব্যাডমিন্টের নির্বাচন : এবার আলোচনায় এনএসসি’র প্রতিনিধিরা!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:১২ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়েই যাচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পুরাতন ভবনে প্রার্থী ও ভোটাররা ঠিকই উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কেউ ভোট দেননি। নির্ধারিত সময় পার হলে নির্বাচন কমিশনকে খালি ব্যালট বাক্স নিয়েই ফিরতে হয়েছে। এ নিয়ে যখন দেশের ক্রীড়াঙ্গন সমালোচনামুখর, ঠিক তখনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং এনএসসি’র প্রতিনিধিরা। ব্যাডমিন্টনের নির্বাচনে ১০২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে পাঁচজন এনএসসি’র প্রতিনিধি। অন্যেরা ভোট না দিলেও এনএসসি’র প্রার্থীরা কেন ভোট দিলেন না-তা নিয়ে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। উপরন্তু গত বুধবারের নির্বাচনে ভোট না দিয়েও কিভাবে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন এনএসসি’র তিন প্রার্থী শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশেনের সর্বশেষ অ্যাডহক কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার। এ নিয়ে পরস্পর বিরেরাধী অভিযোগ রয়েছে। কারো মতে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর মুখ রাখেননি প্রতিনিধিরা। আবার কেউ বলছেন এনএসসি’র মান রাখেননি তারা।

ব্যাডমিন্টনের নির্বাচনের দিন গত বুধবার সকাল ১১টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বুথে বসে ছিলেন। তাদের ভোটার ও প্রার্থীরা সারাক্ষণ ঘুরাফেরা করলেও ভোট দিতে আসেননি কেউই। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কোটার তিন কাউন্সিলর সারাদিন নির্বাচনের ভেন্যুতে থেকেও ভোট দেননি, উল্টা তদারকি করেছেন কেউ ভোট দিচ্ছেন কি না!

সোহাগ কখনোই পেশাদার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও সংগঠক ছিলেন না। অনেক প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠক থাকার পরেও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কোটায় কাউন্সিলর হয়েছেন তিনি। কে, এম শহিদ উল্যা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কোটায় বর্তমানে দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একই কায়দায় ব্যাডমিন্টনের নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনীত হয়ে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। কবিরুল ইসলাম শিকদার প্রতিমন্ত্রীর বদান্যতায় অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। নির্বাচনে কাউন্সিলরশিপ যোগার করতে না পেরে এবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কোটায় কাউন্সিলর মনোনীত হন। তাই ভোটবিহীন নির্বাচনী সময় পার হওয়ার পর ক্রীড়সংশ্লিষ্টদের একটাই বক্তব্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এনএসসি নির্বাচন দিল। আর সেই নির্বাচনেই এ তিনজন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকেও কেন ভোট দিলেন না?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন