নির্বাসিত সাংবাদিক ড.কনক সারোয়ারের বোন নূসরাত শাহরীন রাকার জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশ ১৩ মার্চ। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো: হাবিবুল হনি ও বিচারপতি মো: রিয়াজউদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চ এ তারিখ ধার্য করেন। সেই সঙ্গে আজ (মঙ্গলবার)র মধ্যে মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। নূসরাত শাহরীন রাকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ মাদক দ্রব্য রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
রাকার পক্ষে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: জয়নুল আবেদীন, জেড আই খান পান্না। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল। সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর শুনানিতে অংশ নেন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাকার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন একই বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত: গত বছর ৭ নভেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা পৃথক দুই মামলায় নুসরাত শাহরীণ রাকা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি রুল জারি করেন আদালত। তবে মাদক মামলায় কোনো আদেশ দেননি। গত ৪ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে রাকাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। পরে র্যাব সদস্যরা জানায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব জানায়, বিদেশে অবস্থানকারী একটি চক্র দেশে থাকা ‘এজেন্টদের যোগসাজশে’ ভার্চুয়ালি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, এমন বিষয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরে আসার পর তাদের ধরতে তৎপরতা বাড়ানো হয়। ভাইকে (ড. কনক সারোয়ারকে) সাহায্য করতে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাকা। এরপরই রাকার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দু’টি মামলা করে র্যাব। গত ৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন এবং মাদক মামলায় ২ দিনসহ রাকাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গত ১২ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ দুই মামলায় গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ নুসরাত শাহরীন রাকার জামিন বাতিল করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন