বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান চরমোনাই পীরের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২২, ৯:১৩ পিএম

ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাইয়ের পীর)। তিনি বলেছেন, ‌ইসলামই একমাত্র জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জন্য শুধু কল্যাণই রয়েছে। আমরা এই কল্যাণ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করি। আসুন, আমরা কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে শহিদ মতিউর রহমান পার্কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ৫ দাবিতে এই সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসেও সরকার নিপীড়নমূলক আচরণ করছে। দেশের সাধারণ নাগরিকদের কোনো অধিকার ও সম্মান নেই। সকল অধিকার ভোগ করছে ক্ষমতাসীন এবং তাদের দোসররা। স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছে সবাই জনগণের স্বপ্ন গলা টিপে হত্যা করেছে। সবাই জনগণের সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। গণমানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশ শাসনের নামে জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণের সকল মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র দলীয়করণ এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট এবং সুদ ও ঘুষকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। জনতাকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি দেশে এক ধরনের দুর্ভিক্ষ জন্ম দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষুধা পেটে ঘুমাতে যাচ্ছে। খাবারের জন্য খাদ্য ট্রাকের পেছনে মানুষ দৌড়াচ্ছে। জাতিকে নেশাগ্রস্ত করে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা চলছে। দেশ আর এভাবে চলতে পারে না। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘চিকিৎসা সেবার করুণ দশা গত করোনা মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নিরীহ উলামায়ে কেরামসহ হাজার হাজার নাগরিককে কেবল রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে বিনাবিচারে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ছাড়া দলটির অন্য দাবিগুলো হলো- শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী বিধিমালা-২০২২ বাতিল; স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে ইসলামি হুকুমত কায়েম।’ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ও ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন