অবিলম্বে বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক বাতিল করতে হবে। ২০২৩ শিক্ষা সিলেবাস ধর্ম ও দেশদ্রোহী। বিতর্কিত শিক্ষা ইসলাম ও দেশের সাথে সাংঘর্ষিক। পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিক্যবাদ ডারউইনের মতবাদ যারা যুক্ত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ২০২৩ সালের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের রোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাস্প্রদায়িক উস্কানি তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টি তত্ত্ব অনুপ্রবেশ ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ব্রাক্ষ্মন্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মত নিন্দনীয় জাকের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রীর অসত্য বক্তব্যকে আমরা ধিক্কার জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিত শিক্ষা সর্ম্পকে প্রধানমন্ত্রী কিছু জানেন না এমন বক্তব্যও সঠিক নয়;কারণ প্রধানমন্ত্রীই এই বই উদ্বোধন করেছেন। আজ রোববার পুরানা পল্টনস্থ আইবিএ মিলনায়তনে শিক্ষা সিলেবাস এর অসঙ্গতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস বাতিলের দাবিতে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সারাদেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সুশিল সমাজের সাথে গোলটেবিল বৈঠকের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়ার সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মহাসচিব প্রিন্সিপাল ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মো. আমিনুল ইসলাম , মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কে এম আতিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাঠপুস্তকের বিকৃতি ঘটানো ও ইতিহাস থেকে মুসলমানদেরকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। পীর সাহেব বলেন, পাঠ্যপুস্তকে প্রতিবেশি ব্রাক্ষ্মন্যবাদীদের সুরে সুর মিলিয়ে মুসলিম শাসনকে দখলদারিত্ব এবং স্বাধীন সুলতানি আমল ও বারো ভূঁইয়াদের গৌরবময় ইতিহাসকেও অস্বীকার করা হয়েছে। ইসলামের ফরয বিধান পর্দা এবং মুসলিম পুরুষের পরিচয়বাহক দাঁড়ি-টুপিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। ডারউইনের বিবর্তন মতবাদকে অবৈজ্ঞানিক ও এবং অযৌক্তিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। সিলেবাসে ইসলাম বিরোধী এ মতবাদকে কোমলমতি বাচ্চাদের মনে চাপিয়ে দেয়া ইসলাম ও ধর্ম বিরোধী একটি এজেন্ডা। বিতর্কিত ধারণা শিক্ষার্থীদের শিখতে দেয়া যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিতর্কিত সিলেবাসের মাধ্যমে ইসলামকে উপেক্ষা ও দুর্বল করার কোন এজেন্ডাই এদেশে বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাসে সুকৌশলে পাশ্চাত্য ও এবং ভারতীয় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে এমন বহু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে যা এদেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস সামাজিক পুজির সাথে সাংঘর্ষিক। শিক্ষা সিলেবাসে এই অঞ্চলের ইতিহাসের একটি ভুল ও মিথ্যা বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে ব্রাক্ষ্মন্যবাদী, হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক এজেন্ডা। শিক্ষা সিলেবাসে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু আরেকটি ভয়াবহ দিক। এটা আমাদের পরিবার, সমাজ, মানব প্রজননসহ গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলবে। বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন না বরং বাতিল করতে হবে। সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও উলামাদের সমন্বয়ে নতুন বই লিখতে হবে। ইসলাম বিরোধী বই রচনার সাথে জড়িতদের ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কিনা তা’ খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। উভয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে জোড়ালো প্রতিবাদ জানাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন