বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব এটা হতে পারে না : প্রধান বিচারপতি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২২, ১:১০ পিএম

কারও ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন আর আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব এটা হতে পারে না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা মামলার শুনানিকালে রোববার (৩ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কমান্ডারের জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হয়েছে রোববার।

আদালতে সরকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অপরদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আওসাফুর রহমান। শুনানির শুরুতে ১০ বছরেও মামলাটি শুনানির প্রস্তুতি না নেওয়ায় উষ্মা করে বলেন, ১০ বছরেও একটা মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন না, এটা লজ্জার।

শুনানির এক পর্যায়ে আপিল বিভাগ বলেন, যাদের মূল ভিটে-বাড়ি, আগে তাদের কথা ভাবতে হবে। একজনের ভিটে-বাড়ি নিয়ে যাবেন, আমরা চোখ বন্ধ রাখব, তাহলে দেশে কোর্ট-কাচারি থাকার দরকার কী? এ বিষয়ে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।

পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল (সোমবার) দিন ধার্য করেন।

রাজধানীর মগবাজারের সাড়ে ১৯ শতাংশ জায়গার প্রকৃত মালিক বীরেন্দ্র কুমার নাথ। ১৯৪০ সালে আম মোক্তারনামা মূলে এই জায়গা সিরাজ কমান্ডারকে দিয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সিরাজ কমান্ডার এই জায়গার হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল পরিশোধ করে তার নামে মিউটেশন করে খারিজ করে নেন। জায়গার খাজনাও পরিশোধ করেন। সেখানে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতে থাকেন।

আওসাফুর রহমান আরও বলেন, ২০১০ সালের শেষের দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। পরে এ বিষয়ে মামলা হয়।

পরে তারা জানতে পারেন এ জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করে বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতিকে দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই জায়গা অধিগ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সিরাজ কমান্ডারের সন্তানরা। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্ট অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে লিভ টু আপিল করে সরকার। সেই লিভ টু আপিল শুনানি চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Mia Mohammad Humayon Kabir ৪ এপ্রিল, ২০২২, ১২:২৮ পিএম says : 0
আপনারা শুধু একজনের বাড়ী রক্ষার জন্য চোখ খোলা রাখবে সেটা কি হয়!!?? দেশের চলমান সকল বিষয়ে আপনার নিরপেক্ষতা অবলম্ব করে ১৯কোটি মানুষে ন্যায্য অদিকারের ও ন্যায়া বিচার নিশ্চিত করতে হবে।। অন্যথায় মহান আল্লাহর দরবারে আপনারাও কঠিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে
Total Reply(0)
এ,এম,রফিকুল হক, মুক্তিযোদ্ধা। ৪ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৫৬ পিএম says : 0
ধন্যবাদ জানাব মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে।তিনি একজন মুক্তি যোদ্ধাকে মুল্যায়ন করেছেন। আমিও এমনই এক মামলা নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট এ ঝুলে আছি ২০১৭ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষের পরিবার মিথ্যে মামলা করে আমায় ঝুলিয়ে রেখেছে। আজ পর্যন্ত শুনানি করতে পারিনি, আমার একজন এডভোকেট মারা গেলেন হয়ত আমিও মারা যাবো শুনানির করেতে পারবোনা।
Total Reply(0)
jack ali ৪ এপ্রিল, ২০২২, ২:২০ পিএম says : 0
আমরা যারা বৃদ্ধ যারা মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন অথবা যোগ দেন নাই তারা অবশ্যই দেখেছেন স্বাধীনতার পরে দেশ আমরা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেশ গড়া ছেড়ে দিয়ে আমাদের যারা ক্ষমতায় আছেন তারা যেভাবে হত্যা খুন গুম লুট বাড়ি দখল জমি দখল যত ধরনের অন্যায় অত্যাচার করেছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এবং সেটা এখন চলে আসছে আর আপনি শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যই কথা বলছেন পাকিস্তানি হানাদার শুধু মাত্র নয় মাস আমাদের প্রচার করেছে আর আমাদের হানাদার বাহিনী আজকে পঞ্চাশ বছর ধরে আমাদের প্রচার করছে
Total Reply(0)
মোঃ ইদ্রিস আলী ৪ এপ্রিল, ২০২২, ৭:০৫ পিএম says : 0
এগার বছর অতিবাহিত হওয়া মেনে নেয়া যায় না,
Total Reply(0)
‌মোঃ হেলাল তরফদার ৪ এপ্রিল, ২০২২, ৩:৩০ পিএম says : 0
মাননীয় প্রধান বিচার প‌তি‌কে স্যালুট জানাই, সরকা‌রের বিরু‌দ্ধে এ রকম দুর্দান্ত সাহসী বক্তব্য দেওয়ার জন্য । তাহ‌লে স‌ত্যিই তো কোর্ট কাচারী অা‌ছে কি জন্য , মানু‌ষের শেষ ভরসা এই অাদালত , অাল্লাহ সুবহানহু তায়ালা সব দে‌খেন । ভাল কা‌জে অাল্লাহর সহ‌যো‌গিতা পাওয়া যায় ।
Total Reply(0)
ইকবাল আমিন রতন ৫ এপ্রিল, ২০২২, ৫:২০ এএম says : 0
সময়ের সাহসী উচ্চারনের জন্য ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে।
Total Reply(0)
আব্দুল্লাহ ৭ এপ্রিল, ২০২২, ৯:২২ এএম says : 0
দেশে সকল বিষয়ে মহামান্ন আদালতের নে্আয় বিচারপ্রতিষ্টা করা উচিত।
Total Reply(0)
Masud Rana ৬ এপ্রিল, ২০২২, ৩:০০ পিএম says : 0
Hi Good afternoon! We have a case like this for which we had been struggling to close the case with govt. But we can't because govt is taking time. So far 30 years had gone but we don't know when this case will be solved. Considering our case 10 years is not enough time in Bangladesh.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন