মহামারি করোনার কারণে গেলো দুই বৈশাখের অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। বিষাদের দিনগুলোকে পেছনে ফেলে এবার বাংলা নতুন বছরকে বরণ করার সুযোগ পেয়েছে দেশবাসী। বর্ষবরণের মূল কেন্দ্রে থাকে রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। তবে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও থাকে বর্ষবরণের আমেজ। তবে এবার হাতিরঝিলে নববর্ষের বর্ণিল আয়োজন নেই বললেই চলে।
সকালের দিকে হাতে গোনা কয়েকজন এসেছিলেন প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে। দুপুরের পরও হাতিরঝিলে মানুষের আনাগোনা ছিল না তেমন। বিকেলের দিকেও জমে ওঠেনি হাতিরঝিল এলাকা। পুরুষদের কেউ কেউ পাঞ্জাবি-পাজামা আর নারীদের অনেকে লাল-সাদা শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় ফুল গুঁজে হাজির হয়েছেন হাতিরঝিলে। বৈশাখের সাজে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছে শিশুরাও।
আলাপ শেষে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলে দেখা যায়, কয়েক বন্ধু মিলে সেলফি তুলছেন। সবার পরনেই রঙিন পাঞ্জাবি। তারা জানান, মূলত আজ একসঙ্গে ইফতার করবেন বলে বাসা থেকে বের হয়েছেন। সেই সুযোগে ঝিলে কিছুটা সময় কাটাতে এসেছেন।
ফুল বিক্রেতা মমিন জানান, সকাল থেকে মানুষ আসেনি বেশি একটা। দুপুর পর্যন্ত ১০০ টাকার ফুল বিক্রি করছি। অন্য ছুটির দিনের মতো মানুষ হয়নি, বিক্রিও কম। ঝিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দের কেন্দ্রে ছিল ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরে বেড়ানো। অনেকে বাড়তি আনন্দ পেতে কয়েক চক্কর টেক্সিতে করে ঘুরে বেড়িয়েছিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন