জালাল উদ্দিন ওমর
গত ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন পূর্ব অধিকাংশ জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ের আভাস প্রকাশিত হলেও, নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন। অপরদিকে নির্বাচন পূর্ব অধিকাংশ জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্প পিছিয়ে থাকলেও এবং বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য তিনি বেশ বিতর্কিত হলেও, নির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হয়েছেন। এমনকি রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতারা ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান করা সত্ত্বেও, ট্রাম্পই বিজয়ী হয়েছেন। এই বিজয়ের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। হিলারি ক্লিনটন যথারীতি এই নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিয়েছেন এবং বিজয়ী প্রার্র্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আদিকাল থেকে চলে আসা কিছু রীতি বহাল রয়েছে। প্রথমত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়নি। এবার একজন নারীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার সুযোগ থাকলেও, নির্বাচনে তা প্রতিফলিত হয়নি। অপরদিকে ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ব্রিটেনের কাজ থেকে স্বাধীনতা অর্জনকারী যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান কোনো দলই পরপর তিনবার প্রেসিডেন্ট পদে বিজয় লাভ করেনি। এবারও সেই নিয়ম অপরিবর্তনীয় রয়েছে। তার মানে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন ঐতিহ্যপ্রিয় এবং তারা ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। এদিকে ৭০ বছর বয়সে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। কারণ অতীতে এত বেশি বয়সে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, এজন্য তাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করছি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথেই এগিয়ে যাবে। একই সাথে আশা করব, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ^ব্যাপী শান্তি, মানবাধিকার ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। বন্ধ হবে যুদ্ধ, সংঘাত এবং হানাহানি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্বে শান্তি এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হউকÑএটাই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারির পরাজয় এবং ট্রাম্পের বিজয় অধিকাংশ মানুষের কাছে অপ্রত্যাশিত হলেও, আমার কাছে তা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কারণ একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে বরাবরই আমার বিশ^াস ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। তাই জরিপের পর জরিপে হিলারির এগিয়ে থাকার খবর এবং টিভি বিতর্কে ট্রাম্পের পরাজয়ের খবরে আমি বিচলিত হইনি। এর প্রকৃত কারণ হচ্ছে পৃথিবীর একক পরাশক্তি এবং ৯৬ লক্ষেরও বেশি বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম এই দেশটির ৩০ কোটি জনগণের অধিকাংশই এখনো রক্ষণশীল। তারা এত বিশাল রাষ্ট্রের বিশাল দায়িত্ব একজন নারীর হাতে তুলে দিতে চাননি। অপরদিকে ১৭৭৬ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে আজ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দলের কেউই একটানা তিন টার্ম ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই বারাক ওবামার নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট দলের দুই মেয়াদের আট বছরের শাসন শেষে রিপাবলিকান দলের বিজয়ের পালা। আর ভোটের মাধ্যমে সেই ধারাবাহিকতা প্রতিফলিত হয়েছে। অধিকন্তু মানুষ কিন্তু বরাবরই পরিবর্তন প্রত্যাশী। এটা মানুষের একটি স্বভাবজাত ধর্ম। একদলের টানা আট বছর শাসন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষও স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন চেয়েছে। সব মিলিয়ে জনতার রায় রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষেই গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেøাগান ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। আর হিলারির এমন কোন ক্যারিশমাটিক কোয়ালিটি নেই যে, চলমান প্রথা ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ চোখ বন্ধ করে হিলারিকে ভোট দিবে। স্বাভাবিকভাবেই হিলারির পরাজয় হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান পৃথিবীর একক পরাশক্তি। স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার ইশারায় বিশ্ব নড়ে এবং তার নির্দেশেই বিশ্ব চলে। এক্ষেত্রে তাকে বাধা দেয়ার শক্তি কারো নেই। সুতরাং তার ইচ্ছাতেই অশান্তি এবং তার ইচ্ছাতেই শান্তি। তার ইচ্ছাতেই দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাজতন্ত্র আবার তার ইচ্ছাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দখলদারিত্ব। সুতরাং বিশ্বে শান্তি, গণতন্ত্র এবং সম্প্রতির প্রতিষ্ঠায় তার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। একইভাবে বিশ্বে অশান্তি এবং হানাহানি সৃষ্টির জন্য তিনিই বেশি দায়ী। গণতন্ত্রের প্রবক্তা আব্রাহাম লিঙ্কনের এই দেশকে হতে হবে বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। কিন্তু আজ বিশ্বের অনেক জায়গায় শান্তিকামী মানুষেরা এই পরাশক্তির হাতে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত হচ্ছে। বিনা বিচারে, মানুষেরা গুয়ানতানামাবের নির্জন কারাগারে বছরের পর বছর ধরে বন্দি। বিনা অপরাধে ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়া স্বাধীনতা হারিয়েছে। হত্যা আর বর্বরতার শিকার হচ্ছে ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়ার নিরাপরাধ মানুষেরা। সিরিয়ায় ছয় বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ফিলিস্তিনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনে ইসরাইলী দখলদারিত্ব চলছে তো চলছেই। মিসরে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। এসব অগণতান্ত্রিক কর্মকা-ের পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট ভূমিকা রয়েছে এবং এসব কারণে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র আজ সমালোচিত। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে ডোলান্ড ট্রাম্প। আমরা আশা করব ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ^ব্যাপী বিদ্যমান এসব যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধে কাজ করবেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবেন।
বিশ্বে শান্তি এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রথমেই অশান্তি এবং হানাহানির প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী এবং আধিপত্যবাদী নীতি বিশ্বে অশান্তির প্রধান কারণ। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতিও বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী। সুতরাং বিশ্বে শান্তি এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যুক্তরাট্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। একইসাথে দ্বিমুখী নীতি পরিহার করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে হবে। একই সাথে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ সমাধান করতে হবে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রথমেই ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান যেমন করতে হবে, ঠিক তেমনি ইরাক-আফগানিস্তানে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গুয়ানতামাবের কারাগার যেমন বন্ধ করতে হবে, ঠিক তেমনি সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধ বন্ধে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরে গণভোট আয়োজনের ব্যবস্থা করে কাশ্মীর সমস্যার যেমন সমাধান করতে হবে ঠিক তেমনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমস্যা নিরসনে কাজ করতে হবে। মুসলিম দেশসমূহে বিদ্যমান সামরিক উপস্থিতির যেমন অবসান ঘটাতে হবে, ঠিক তেমনি দেশে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। পছন্দের দল বিজয়ী হলেই গণতন্ত্র আর অপছন্দের দল বিজয়ী হলে অগণতন্ত্র- এই মানসিকতা আজ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরিহার করতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের যেমন ভোটাধিকার রয়েছে এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের অধিকার রয়েছে, ঠিক সে রকম ভোটাধিকার বিশে^র সকল দেশের সকল মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ভাগ্য পৃথিবীর অনেক দেশেই জনগণের আজ ভোটাধিকার নেই। ইসরাইলের অন্যায় কাজের প্রতি সমর্থন যেমন পরিহার করতে হবে, ঠিক তেমনিভাবে ইসরাইলের পক্ষে জাতিসংঘে ভেটো প্রদানও বন্ধ করতে হবে। তাহলেই কেবল বিশ্বে কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আসবে এবং বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রতি ফিরে আসবে। বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য প্রথমেই ফিলিস্তিন সমস্যার বাস্তবভিত্তিক সমাধান করতে হবে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেই কেবল ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হবে। একইসাথে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে। তথাকথিত ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আগ্রাসন চালিয়েছিল এবং সেই থেকেই ইরাকে মার্কিন দখলদারিত্ব চলছে। অথচ ইরাক দখলের পর সেই গণবিধ্বংসী অস্ত্রের কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরাকে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে এবং ইতোমধ্যেই নির্যাতনে কয়েক লাখ ইরাকি প্রাণ হারিয়েছে। সুতরাং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এখনই ইরাক থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং ইরাকের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। একইভাবে আফগানিস্তানে ও অবৈধ দখলদারিত্ব এবং আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। গুয়ানতানামো কারাগারকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সিরিয়া এবং লিবিয়ায় বিদ্যমান গৃহযুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং দেশ দুটির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। সিরিয়ার চল্লিশ লাখ মানুষ আজ উদ্বাস্তু, নিহত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। সুতরাং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধ করুন। কাশ্মীর নিয়ে প্রায় সাত দশক ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে এবং তা উপমহাদেশে স্থায়ী অশান্তি সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য দক্ষিণ সুদান আর পূর্বতীমুরের মত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাশ্মীরে গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই গণভোটের রায় অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিশ^ব্যাপী উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে আজ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৬ কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছে, যেটা মানবতার লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই সব মানুষকে নিজ দেশের নিজ ঘরে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্বের প্রধান প্রধান এইসব সমস্যার সমাধান হলে সারা বিশ্বজুড়েই শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এসব সমস্যা সমাধান করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্পকে এগিয়ে আসতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আশা করব, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি তার এই নীতি পরিত্যাগ করবেন। আশার কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিজয় পরবর্তী প্রথম ভাষণে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব লোকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। একই সাথে তিনি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিশ^ব্যাপী সকল রাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা আশা করব, ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তির পথে নতুন এবং দীর্ঘ এক অভিযাত্রা শুরু করবেন। যে অভিযাত্রায় বিদ্যমান সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি বিশ্বে সত্যিকার অর্থেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেনÑ বিশ্ববাসীর এই প্রত্যাশার সাথে আমি ও আজ প্রতিক্ষারত। আর কোনো যুদ্ধ-সংঘাত নয়, আমরা কেবল শান্তি চাই। আর কোন হিংসা-হানাহানি নয়, আমরা সম্প্রীতির সাথে বাঁচতে চাই। শান্তি এবং মানবতার জয় হউক।
য় লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
ড়সধৎথপঃম১২৩@ুধযড়ড়.পড়স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন