প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (০৯ মে) বিকেল ৫টায় এই ওয়াজেদ মিয়ার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়। পরে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (সাময়িক) অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্নজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এই সময় উপাচার্য বলেন, ওয়াজেদ মিয়ার গবেষণা নিয়ে ইনশাআল্লাহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও গবেষণা হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ওনার হাত ধরেই দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মহান আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবী করুক। এই দেশকে আরও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাক।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলকে আমরা স্বপ্নে কল্পনা করেছি কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্দ্রী সেটা আমাদেরকে বাস্তবে দেখিয়েছেন। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানানো হবে এটা চিন্তারও বাইরে ছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়চেতা দেখেই পদ্মা সেতু, কর্নফুলি টানেল করতে পেরেছেন।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া শুধু কর্মের মাধ্যমে আমাদের কাছে নন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অণুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। আমরা আশা করি, বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। ওনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও ওনার কাজের মাধ্যমে ওনি বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে। ক্ষমতায় থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার তিনি করেননি। এটি আমাদের জন্য শিক্ষা। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
এইসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আসম ফিরোজ উল হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন