শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

বাজেটে পাচারকৃত অর্থ বৈধকরণের কোনো সিদ্ধান্ত সহ্য করা হবে না

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২২, ৮:৪৭ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, অর্থপাচার বাংলাদেশের অর্থনীতির দুষ্টু ক্ষতে পরিণত হয়ে অবিরত জাতিকে দহ করছে। অসৎ রাজনীতিবিদ,আমলা ও ব্যবসায়ী চক্র খেটে খাওয়া মানুষের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে স্থায়ী সম্পদ গড়েছে এবং ব্যাংকে টাকা জমিয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকগণ যথাক্রমে অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট লুৎফর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকগণ যথাক্রমে অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মাদ শোয়াইব, বরকতুল্লাহ লতিফ, জিএম রুহুল আমিন, এডভোকেট মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা শেখ ফজলুল করিম মারুফ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন সাকী, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার প্রমুখ।
সভায় বিগত মাসের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পর্যালোচনা ও আগামী মাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
মহাসচিব আরো বলেন, বিদেশে সেসব স্থায়ী সম্পদ গড়া হয়েছে বা নগদ অর্থ জমা করা হয়েছে তা স্পষ্টত চুরি-ডাকাতি মাধ্যমে অর্জিত। এগুলো জনতার সম্পদ। কোন ধরনের আইনী ফাঁক ফোকরে বা কোন ছলচাতুরী করে জনতার সেই সম্পদ চোরদের পক্ষে বৈধতা দেয়া হলে জনতার সহ্য করবে না ।
গত বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী কর নিয়ে পাচারকৃত অর্থের বৈধতা সংক্রান্ত যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা তীব্র নিন্দা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাচারকৃত অর্থের ব্যাপারে এ ধরনের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রের কোনো বিশেষ লাভ হবে না তা প্রমাণিত। এটা আইন ও নৈতিকতা বিরোধী। এর মাধ্যমে সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা হবে ও দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করা হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ধরনের চোরবান্ধব কোন নীতি গ্রহণ করা হলে জনতাকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে এবং যারা এসব চোরবান্ধব নীতি করবে তাদেরকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন