বিদ্যুতে প্রতিদিনই প্রিপেইড মিটার স্থাপন হচ্ছে। তবে গ্যাসে আটকে আছে বেশিরভাগ কাজ। বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনে খুব একটা আগ্রহীও নয়। অভিযোগ রয়েছে-বিতরণ কোম্পানি যেকোনও মূল্যে কাজটি ঝুলিয়ে রাখতে চায়। এতে একদিকে ফুলে ফেঁপে উঠছে গ্যাস বিতরণকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যদিকে ব্যবহার না করেও বিল গুণতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অপচয়ের পরিমানও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা ও অদক্ষতার কারণে বছরে ৬৫ কোটি ঘনমিটার গ্যাস অপচয় (সিস্টেম লস) হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ, অনুমোদনের চেয়ে বেশি ব্যবহার ও পাইপলাইনে লিকেজের (ছিদ্র) কারণে গ্যাস অপচয় হচ্ছে নিয়মিত। আগের বছরের চেয়ে অপচয় বেড়েছে গত অর্থবছরে। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিটার বসানো হলে এই চুরি ঠেকানো সহজ। চুরি বন্ধ করে হাজার হাজার কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব। অথচ চুরি বন্ধে কার্যকর তেমন কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ঘাটতি মেটাতে সরকার চড়া দামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে। অন্যদিকে মিটারবিহীন গ্যাস সংযোগে অপচয়ও বেশি, ভোক্তার খরচও বেশি।
ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন, তারা মিটার বসানোর ক্ষেত্রে গড়িমসি দেখতে পাচ্ছেন। তাদের দিক থেকে তারা বলে যে প্রিপেইড মিটারে বিনিয়োগ করার মত পর্যাপ্ত অর্থ নেই, বসানোর জন্য জনবলের সংকট। এই কারণে তাদের ধীরগতি হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের ব্যাখ্যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো আবাসিক গ্রাহকদের কাছ থেকে এখন যে রাজস্ব পাচ্ছে, প্রিপেইড মিটার বসানো হলে তাদের প্রায় ৪০ শতাংশ রাজস্ব কমে যাবে। কারণ আবাসিকে গ্যাসের দাম নির্ধারণকালে যে পরিমাণ গ্যাস ধরা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক কম গ্যাস ব্যবহার করেন গ্রাহক। বিতরণ কোম্পানি সূত্র বলছে, আবাসিকে গ্যাসের যে বিল নেওয়া হয় তাতে বিবেচনা করা হয় একটি চুলা একটানা ১২ ঘণ্টা জ্বলবে। অথচ একটি পরিবারের তিন বেলার খাবার রান্নায় বড়জোর দিনে ৬ ঘণ্টা চুলা জ্বালাতে হয়। কিন্তু বিল দিতে হয় ১২ ঘণ্টার হিসাবেই। অথচ প্রিপেইড মিটার থাকলে গ্রাহক ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে বিল দিতে পারতেন। বিতরণ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রিপেইড মিটার ছাড়া একজন গ্রাহককে দুই চুলার জন্য মাসে ৯৫০ টাকা বিল দিতে হয়। কিন্তু একটি ছোট পরিবারের জন্য প্রিপেইড মিটারে মাসিক খরচ গড়ে ৬০০ টাকা। প্রিপেইড মিটার লাগালে অপচয় কমবে ঠিকই, তবে বিতরণ কোম্পানির লাভ হবে না।
রাজধানী কাফরুলের বাসিন্দা জিশান আহমেদ জানান, আগের বাসায় প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেছি আমি। নতুন এলাকায় এসে দেখি সেটা নেই। আগে যেখানে মাসে পাঁচ ছয়শ টাকা রিচার্জ করলে হয়ে যেত, এখন চুলার জন্য মাসে তিনশ বা সাড়ে তিনশ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি। দুই চুলার গ্রাহকদের মাসে ১০৫ টাকা এবং এক চুলার গ্রাহকদের মাসে ৬৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে একটি চুলার জন্য খরচ ৯২৫ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলার ক্ষেত্রে ৯৭৫ থেকে ১০৮০ টাকা।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গৃহস্থালি রান্নায় ব্যবহৃত দুই চুলার একজন গ্রাহক মাসে গড়ে কোনোভাবেই ৫০ ঘনমিটারের বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন না। অথচ ৭৮ ঘনমিটার ধরে দুই চুলার বিল হিসাব করা হয়েছে ৯৭৫ টাকা। তার মানে প্রতি চুলায় একজন গ্রাহকের কাছ থেকে ২৮ ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়তি নেয় বিতরণ কোম্পানি। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী একজন গ্রাহক ৪০ থেকে ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। তাদের মাসে বিল দিতে হয় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মিটার ছাড়া একজন গ্রাহক মাসে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি বিল দিচ্ছেন বিতরণ কোম্পানিকে। শুধু তিতাসের আবাসিক গ্রাহক আছেন সাড়ে ২৮ লাখ। এর মধ্যে সাড়ে ২৫ লাখের বেশি গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার নেই। এর ফলে এসব গ্রাহকের কাছ থেকে অন্তত ১১৫ কোটি টাকা বাড়তি নিচ্ছে তিতাস। এতে ১১৫ কোটি টাকার গ্যাস অপচয় হিসাবে খাতায় চাপা পড়ে যাচ্ছে। সারা দেশে গ্যাসের মোট গ্রাহক ৪৩ লাখ, এদের মধ্যে প্রিপেইড মিটার আছে মাত্র সাড়ে ৩ লাখ।
অথচ গ্রাহক পর্যায়ে এই বিপুল অর্থ অতিরিক্ত খরচ করলেও গ্যাসের কোন অতিরিক্ত ব্যবহার নেই। বাংলাদেশে রান্নার গ্যাস ব্যবহারে চুলা প্রতি টাকা দেয়ার বদলে প্রিপেইড মিটারে খরচ ও গ্যাসের ব্যবহার দুটোই অনেক কম হয়। কিন্তু আপাতত মিটার বসানোর প্রকল্প বন্ধ রয়েছে। কতৃপক্ষ বলছে, অর্থায়নের অভাবে মিটার দেওয়া হচ্ছে না এবং নতুন আবেদনও নেয়া হচ্ছে না।
শিল্পমালিকেরাও চাপ কম থাকায় নির্ধারিত গ্যাস না পাওয়ার নিয়মিত অভিযোগ করেছেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতারা বলছেন, ইলেকট্রনিক ভলিউম ক্যারেক্টার (ইভিসি) মিটার বসালে শিল্পে গ্যাস বিল কমে আসবে। তাই বিতরণ কোম্পানি ইভিসি মিটার দিচ্ছে না। ইভিসি দিলে তাদের কারিগরি অপচয় চাপা দেওয়ার আর সুযোগ থাকবে না।
২০১১ সালে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ শুরু করে। সাড়ে ২৮ লাখ গ্রাহকের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় এক যুগ শেষে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৩ হাজার মিটার বসাতে পেরেছে। সে হিসেবে ২৫ লাখ গ্রাহক এখনও এই সেবার বাইরে। অথচ, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব গ্যাস গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে সরকারের। কিন্তু সেখানে সবচেয়ে বড় কোম্পানিটির উদ্যোগও হতাশাজনক।
জ্বালানি বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব এলাকার আবাসিক গ্যাস গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনা ধরেই বিতরণ কোম্পানিগুলো কাজ করছে। তবে পরিকল্পনার আংশিকও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
জাপান সরকারের ৩৫তম ওডিএ ঋণ প্যাকেজভুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প-এর অধীনে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ লাখ ২০ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন হওয়ার কথা রয়েছে। জিওবি, জাইকা এবং টিজিটিডিসিএল (নিজস্ব)-এর ৭৫৩ কোটি টাকা অর্থায়নে ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ প্রকল্পটির মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।
তিতাস জানায়, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ২০ হাজার মিটার ক্রয় ও স্থাপন প্রক্রিয়াধীন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০টি লটে ৬৩ হাজার ৩৬০টি মিটার জাপান থেকে আসে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাৎসরিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী জুন ২০২১-এর মধ্যে ৫০ হাজার মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। বিপরীতে মিটার স্থাপন হয় ৫৫ হাজার ৩৪৫টি।
তিতাসের মোট আবাসিক গ্রাহক ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৪৭ জন। বর্তমান গতিতে মিটার লাগানো হলে একযুগেও সবার আঙিনায় প্রিপেইড মিটার বসবে না। এদিকে ২০৩০ সালের পর দেশীয় গ্যাস পাওয়া নিয়েও সন্দিহান সরকার। অর্থাৎ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের আগেই চুলাগুলো গ্যাসশূন্য হয়ে যেতে পারে।
গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ইনস্টলেশন অফ প্রিপেইড গ্যাস মিটার ফর টিজিটিডিসিএল) প্রকৌশলী মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, তিতাস সরাসরি কাজটি করছে না। জাইকার অর্থায়নে এখন ৩ লাখ ২০ হাজার মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। বেশিরভাগই স্থাপন হয়েছে।
তিতাসের ২০২০-২১ সালের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে আবাসিক পর্যায়ে গ্রাহক রয়েছে সাড়ে আঠাশ লাখের মতো। ২০১১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ শুরু করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি। সেসময় অল্পকিছু মিটার বসানো হয়েছিল। ২০১৭ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির অর্থায়নে প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালে বিইআরসি সকল গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার বসানোর নির্দেশনা দেয়। কিন্তু এখন চলমান কোন প্রকল্প নেই তাই বন্ধ রয়েছে মিটার বসানো।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর জন্য মিটারের চাইতে চুলা প্রতি অর্থ পরিশোধ বেশি লাভজনক। কোম্পানিগুলোর তরফ থেকে প্রিপেইড মিটার কার্যক্রমে ঢিলেমির এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, বিইআরসি ২০১৫ সালের ট্যারিফ আইনে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্যাস মিটার প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ দেয়, কিন্তু তারা সেটি মেনে চলছেন না। এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আইনের লঙ্ঘন করছেন এবং তাদেরকে জরিমানা অথবা জেল অথবা উভয় ধরনের শাস্তি দেওয়া উচিৎ। কিন্তু বিইআরসি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় জটিলতা তৈরি করছেন যাতে তাদেরকে ঠকানো যায়।
তিতাসের একজন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৪ হাজার টাকা দামের মিটারগুলো একটি জাপানি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করেছে। এই মিটারগুলো ২০ বছর টিকতে পারে। এখন গ্রাহকদের প্রতি মাসে এই মিটার ব্যবহারের জন্য ৬০ টাকা করে ভাড়া দিতে হচ্ছে। এই ভাড়া ১০০ টাকা করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আমরা মিটারের দাম ১৩ বছরের মধ্যে তুলে আনতে পারি।
২০২৪ সালের মধ্যে সব আবাসিক গ্রাহককে প্রিপেইড সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিতাস আরও ১২ লাখ মিটার বসানোর জন্য ২টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তবে উভয় প্রকল্পই যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। বিইআরসি বিভিন্ন সময় প্রিপেইড মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, ২০১৯ সালে একটি পরিপত্রের মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি গ্রাহকদের গ্যাসের অপচয় কমাতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং তাদের গ্যাসের মাসিক খরচ কমে যাবে।
এছাড়া কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ করে। ৫ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহকের প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৬০ হাজার মিটার বসিয়েছে। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডও মিটার বসানোর জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছে। বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) আওতায় থাকা অপর ৩টি প্রতিষ্ঠান হল বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, সামনের দিনে তিতাসের বিপুল পরিমাণ মিটারের প্রয়োজন হবে। মিটার আমদানির চেয়ে দেশে তৈরি বা সংযোজন অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন