হজ্বের মৌসুমে আমরা এ আয়াতের উপর আলোচনা শুনে থাকি। আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে ইরশাদ করেন, হজ্বের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু মাস । এ মাসগুলোতে যারা নিজেদের উপর হজ্বকে অপরিহার্য করবে তাদের কর্তব্য, সকল অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। সকল গোনাহ ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং সব ধরণের ঝগড়া-বিবাদ থেকে মুক্ত থাকা।
আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে যে কয় মাসের কথা বলেছেন তা শুরু হয়েছে । মাস কয়টি হচ্ছে শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ্বব। যদিও হজ্বের মূল কাজ হয় যিলহজ্ব মাসে। কিন্তু এর সময় শুরু হয়ে যায় শাওয়াল থেকেই। তাই এ তিন মাসকে বলা হয় হজ্বের মাস।
যারা হজ্ব করতে ইচ্ছুক তাদের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য, হজ্বের মাসায়েল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। মাসায়েল ভালোভাবে জেনে ও বুঝে না নিলে নানা ধরনের ভুল-ভ্রামিত্মর আশংকা থাকে। এমনকি কখনো কখনো এমন এমন ভুলও হয় যে, আমলটিই বরবাদ হয়ে যায়। এ কারণে যে কোনো ইবাদত বা আমলের আগে সে সংক্রামত্ম মৌলিক মাসায়েল জেনে নেওয়া খুব প্রয়োজন।
এখন হজ্বেবর মওসুম। মসজিদে মসজিদে হজ্বেবর আলোচনা হবে। এ সব আলোচনা ও প্রশিক্ষণে কি শুধু যারা এ বছর হজ্বে যাবেন তাদেরই উপকার, না অন্যদেরও উপকার? সবারই উপকার, সবারই প্রয়োজন। যারা হজ্বে যাচ্ছেন হজ্বের মাসায়েল জানা তাদের জন্যে বেশী জরুরি, কিন্তু যারা যাচ্ছেন না তাদের জন্যেও উপকারী। এটা দ্বীনী ইলম শিক্ষা করার শামিল। সুতরাং দ্বীনী ইলম শেখার যে ফযীলত রয়েছে, তা হাসিল হবে ইনশাআল্লাহ।
এ জন্য এ মওসুমে বিজ্ঞ হক্কানী আলিমগণ হজ্বের যে প্রশিক্ষণ দেবেন তাতে যাদের এ বছর হজ্বে যাওয়া হচ্ছে না তারাও শামিল হতে পারি।
দ্বিতীয় কর্তব্য, হজ্বের শিক্ষা ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা এবং হজ্বের বিধি-বিধানের মধ্যে যে আখলাকী ও চারিত্রিক শিক্ষা আছে তা অর্জনের চেষ্টা করা। হজ্ব সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়া হলে দেখা যাবে, হজ্বের মধ্যে অনেক আখলাকি শিক্ষা আছে। এটি ইসলামের সকল ইবাদতের বৈশিষ্ট্য । সালাত বলুন, সওম বলুন, যাকাত বলুন, হজ্ব বলুন সব কিছুতেই রয়েছে অনেক আখলাকি শিক্ষা । আমরা সওমের আলোচনা শুনেছি। সওমের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে অনেক বড় আখলাকি শিক্ষা দিয়েছেন। রাসূলুলস্নাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি রোযা রেখে মিথ্যা কথা এবং মিথ্যা কর্ম (অর্থাৎ অসৎ কর্ম) পরিত্যাগ করতে পারে না, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।
কত কঠিন কথা! সওমের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই নৈতিক ও চারিত্রিক শিক্ষাই দান করেছেন। যদি আমরা সওমের মাধ্যমে এই শিক্ষা অর্জন করতে না পারি তাহলে রমযানের ফরয আদায় হলেও রমযানের পূর্ণাঙ্গ ফায়দা ও ফযীলত হাসিল হবে না। ঠিক তেমনি হজ্বের বিষয়টি । আমরা যদি হজ্বের আহকাম ও বিধানাবলী এবং এর শিক্ষা ও তাৎপর্য নিয়ে চিমত্মা করি তাহলে দেখতে পাব, হজ্বের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অনেক গুণ ও যোগ্যতার অধিকারী করতে চেয়েছেন। আমরা যদি সেসকল গুণ ও যোগ্যতা অর্জন করতে চাই এবং সেজন্যে চেষ্টা-সাধনা চালিয়ে যাই তাহলে আল্লাহর তাওফীকে আমরা সে সকল গুণ ও বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ ।
হজ্বের অনেক বড় শিক্ষা হল সবরের শিক্ষা। হজ্বে খুব বেশী প্রয়োজন হয় সবরের। যেহেতু হজ্বের সফর দীর্ঘ হয়ে থাকে এবং হজ্বের সফরে এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় যা অমত্মরে ক্রোধের জন্ম দেয় তাই সবরের প্রয়োজন হয়। সবরের মাধ্যমে এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। উপরের আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ১. কোনো অশ্লীল কথা ও কাজে লিপ্ত হবে না। ২. কোনো গুনাহ ও পাপাচারে লিপ্ত হবে না। ৩. কারো সাথে কোনো ঝগড়া-বিবাদ করবে না।
তিন ক্ষক্ষত্রেই প্রচুর সবরের প্রয়োজন। আলিমগণ সবরের যে মৌলিক তিনটি ক্ষক্ষত্র নির্দেশ করেছেন এর একটি হচ্ছে গুনাহ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। এই সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ সবরের অনেক বড় প্রকার। সুতরাং অশস্নীল কথা, কাজ ও পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবর ও সংযমের খুব প্রয়োজন। মনে কর¤œন, মাহে রমযানে একমাস যে সংযমের অনুশীলন হয়েছে হজ্বের সফরে আমার-আপনার ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়ে যাবে। হজ্ব-ওমরার সফরে বিশেষভাবে পরীক্ষা হয় পর্দার ও দৃষ্টির। এ দুই ক্ষক্ষত্রে খুব সতর্ক থাকা উচিত। তৃতীয় বিষয় ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত না হওয়া। ঝগড়া ইসলামের দৃষ্টিতে বড় নিন্দনীয়। কোনো ভদ্র মানুষ কখনো ঝগড়া করতে পারে না। আর এটা সব সময়ের বিধান। রাসূলুলস্নাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- ‘যে মিথ্যা ত্যাগ করে, যা বাতিল ও ত্যাগ করারই বিষয় তার জন্য জান্নাতের প্রামেত্ম ঘর নির্মাণ করা হয়। আর যে ন্যায়ের উপর থেকেও ঝগড়া ত্যাগ করে তার জন্যে জান্নাতের মধ্যখানে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর যে তার আখলাক চরিত্রকে সুন্দর করে জান্নাতের উঁচু স্থানে তার জন্যে ঘর নির্মাণ করা হয়।’
ঝগড়া না করার নির্দেশ ইসলামে সবসময়ের । তবে হজ্বেবর সময় এ নির্দেশটি আরো গুরুত্বের সাথে দেওয়া হয়েছে। কারণ হজ্বেবর সময় ঝগড়া বিবাদের অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটা কুরআন মাজিদের এক অনুপম উপস্থাপন-রীতি। যে জিনিসের বেশী প্রয়োজন কুরআন মাজিদ তা বিশেষভাবে উল্লেখ করে। মাতা-পিতা যখন বার্ধক্যে উপনীত হন তখন কুরআন মাজিদ তাদের সাথে নম্র আচরণের কথা বলেছে।
মাতা-পিতা উভয়ে অথবা তাদের কোনো একজন যদি তোমার সামনে বার্ধক্যে উপনীত হয় তখন তাদেরকে সামান্যতম কষ্টদায়ক কথাও বলো না। তাদেরকে ধমক দিও না। তাদের সাথে উত্তম ও নম্র কথা বল।
এই যে পিতা-মাতার সাথে নম্র আচরণ করার, তাদেরকে ধমক না দেওয়ারও তাদের সামনে বিরক্তি প্রকাশ না করার বিধান এ কি শুধু পিতা-মাতা বৃদ্ধ হয়ে গেলেই প্রযোজ্য, না সব সময়ের জন্যে প্রযোজ্য? অবশ্যই সব সময়ের জন্যে প্রযোজ্য। কিন্তু মাতা-পিতার সাথে সমত্মানের দুর্ব্যবহারের আশংকা বেশী হয়ে থাকে তাদের বার্ধক্যের সময়। তাই এ অবস্থায় যেন সমত্মান মা-বাবাকে কষ্ট না দেয় সে জন্যে কুরআন বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছে।
হজ্বেবর মধ্যে ঝগড়া না করার নির্দেশের বিষয়টিও তেমনি। কারণ হজ্বেবর সফরে এমন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকে যাতে ঝগড়া হওয়া স্বাভাবিক। এ জন্যে কুরআন মাজিদ হজ্বেবর সফরে ঝগড়া থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ বিশেষভাবে দিয়েছে। তুমি তো আল্লাহর ঘরের মেহমান । তুমি বাইতুল্লাহর মুসাফির। আল্লাহর ঘরের মেহমানের জন্যে কি সাজে কারো সাথে ঝগড়া করা? যদি কোনো মুসলিম কুরআনের এ নির্দেশ পালন করার জন্যে প্রতিজ্ঞা করে, আমাকে যত কষ্ট দেওয়া হোক, আমার সাথে যত দুর্ব্যবহারই করা হোক, আমার সাথে যত ওয়াদাখেলাফি করা হোক-কুরআন যখন বলেছে, হজ্বেবর মধ্যে কোনো ঝগড়া নেই সুতরাং আমি কারো সাথে ঝগড়া করব না। যদি কোনো মুসলিম এ প্রতিজ্ঞা করে তাহলে হজ্বেবর মাধ্যমে যে ধৈর্য ও সহনশীলতা এবং সবর ও সংযমের গুণ তার অর্জিত হবে তার কি কোনো তুলনা হতে পারে?
কুরআন এভাবেই আমাদেরকে নম্র ভদ্র ও সুশীল করে গড়ে তুলতে চায়। আমরা চাইলে কুরআন থেকে সুন্দর আখলাক ও মহৎ চরিত্রের শিক্ষা লাভ করতে পারি।
হজ্বেবর সফরের আরেক অনুষঙ্গ হচ্ছে আল্লাহর মুহববত নিয়ে সফর করা। এখন তো সফর অনেক সহজ হয়ে গেছে। আগের যুগে সফর অনেক কঠিন ছিল। পথ অনেক দীর্ঘ ও দুর্গম ছিল। মানুষ এক মাস দু মাস তিন মাসের পথ পাড়ি দিয়ে আসত বায়তুল্লাহর যিয়ারতের জন্যে। একমাত্র আল্লাহ তাআলার মুহববত ও ভালোবাসা তাদেরকে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে উদ্ব্দ্ধু করত। তো আমরাও যখন সফর করব তখন আল্লাহর মুহাববত ও ভালবাসা, আল্লাহর প্রতি সমর্পণ ও উৎসর্গের প্রেরণা নিয়ে সফর করব। তাহলে আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। তাআল্লুক মাআল্লাহর মত সম্পদ লাভ করতে পারব। এক বুযুর্গের ঘটনা। তিনি বলেন, আমি একবার আল্লাহর ঘর তওয়াফ করছি এমন সময় একজন মধ্যবয়েসী লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় । তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? আমি বললাম, খোরাসান থেকে এসেছি। তিনি বললেন খোরাসান এখান থেকে কয় মাসের দূরত্বে অবস্থিত? আমি বললাম, তিন মাসের দূরত্বে । তিনি বললেন, তোমরা তো তাহলে বায়তুল্লাহর পড়শি! তোমরা দুতিন মাস সফর করেই বায়তুল্লায় পৌঁছে যাও! আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কত দূর থেকে এসেছেন? তিনি বললেন, আমি পাঁচ বছরের পথ অতিক্রম করে এসেছি। আমি যখন রওয়ানা হয়েছি তখন আমি ছিলাম যুবক। আমার দাড়ি কাঁচা ছিল। মক্কায় পৌঁছতে পৌঁছতে আমার দাড়িতে পাক ধরেছে। আমি বললাম- আল্লাহর কসম! এ তো সত্যিকারের আনুগত্য। সত্যিকারের প্রেম। তখন তিনি দুটি পংক্তি আবৃত্তি করলেন-
তুমি যাকে ভালোবাস তার সাথে সাক্ষাৎ করতে যাও । যদিও সাক্ষাতের পথে থাকে অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা। পথের দূরত্ব যেন তোমাকে সাক্ষাৎ থেকে বিরত না রাখে। কারণ যে যাকে ভালোবাসে সে বেশি বেশি তার সাক্ষাৎ করে। যদি সত্যিকারের ভালোবাসা না থাকে, ইশক না থাকে তাহলে পথের প্রতিবন্ধকতা শুধু বাড়তে থাকে, নানা টালবাহানা ও অজুহাত ভীড় করতে থাকে। আর যদি সত্যিকারের আগ্রহ থাকে, সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে তাহলে বাধার বিন্ধ্যাচলও দূর হয়ে যায়। এরপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্বেবর কত ফযীলত বর্ণনা করেছেন।
এক হাদীসে রাসূলুলস্নাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং আল্লাহর জন্যে হজ্ব ও ওমরা আদায়কারী হচ্ছে আল্লাহর প্রতিনিধি। আল্লাহ তাদের ডেকেছেন এবং তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছে আর তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে এবং আললাহ সে প্রার্থনা কবুল করেছেন। এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, যারা ওমরা ও হজ্ব আদায় করার তাওফীকপ্রাপ্ত হয়েছেন আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের কত মর্যাদা! তারা আল্লাহর মেহমান। আলস্নাহ অবশ্যই তাঁর মেহমানদের ইকরাম করবেন। তিনিই তো দিয়েছেন মেহমানের ইকরাম করার বিধান।
আরেক হাদীসে রাসূলুলস্নাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘এক ওমরা থেকে অন্য ওমরা মাঝের গুনাহসমূহের জন্যে কাফফারা স্বরূপ আর ‘হজ্বেব মাবরুর’-এর একমাত্র প্রতিদান হল জান্নাত।’
যার হজ্ব মাকবুল হবে আল্লাহ তাআলা তার জন্যে জান্নাতের ফায়সালা করে রেখেছেন।
অন্য হাদীসে রাসূলুলস্নাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা হজব ও ওমরা বারবার কর। কারণ ওমরা ও হজ্বের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা পাপ ও দারিদ্র এমনভাবে দূর করে দেন যেমনভাবে হাপর লোহার মরিচাকে দূর করে দেয়।
অনেকে ভয় করে, এত টাকা খরচ হবে! অথচ রাসূলুলস্নাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্যে যদি কেউ এ খরচ করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার ধনসম্পদে এত বরকত দান করবেন যে, তার দারিদ্র দূর হয়ে যাবে।
অনেকে ভয় পায়, হজ্ব করলে তো আর গোনাহ করা যাবে না। হজ্ব করলে তো দাড়ি কাটা যাবে না। অথচ আমার এখন দাড়ি রাখার বয়স হয়নি! যেন হজ্ব করার আগ পর্যমত্ম গোনাহ করা জায়েয! দাড়ি কাটা জায়েয!! (নাউযুবিলস্নাহ) এগুলো শয়তানের ধোঁকা । হজ্ব থেকে আসার পর আল্লাহ যদি গোনাহ থেকে বাঁচার তাওফীক দান করেন তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা আছে গোনাহ থেকে বাঁচতে ! মৃত্যু কখন এসে যায়, মালাকুল মউত কখন হাজির হয়ে যায় তা কি কেউ বলতে পারে?
কারো উপর যদি হজ্ব ফরয হয় আর সে হজ্ব না করে তাহলে তার জন্যে এটা অনেক বড় আশংকার বিষয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- যার হজ্ব করার সামর্থ্য আছে তার জন্যে বায়তুল্লাহর হজ্ব করা অপরিহার্য, ফরয। যারা কুফরী করে মনে রেখ, আল্লাহ তাআলা জগতবাসী থেকে বেনিয়ায, অমুখাপেক্ষী।’
এখানে ‘কাফারা’ শব্দের ব্যবহার অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। এটা হল কর্মগত কুফরী। সামর্থ্য থাকার পরও হজ্বব না করা আল্লাহ পাকের এমন অবাধ্যতা যাকে আল্লাহ কুফরী শব্দের মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন।
লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন