শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পদ্মাসেতু চালুতে ফরিদপুসহ দক্ষিন পশি্চমাঞ্চেলর হাজার হাজার শ্রমিক পাবে কর্মসংস্থান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ৭:০৪ পিএম

আগামী ২৫ জুন, চালু হচ্ছে ফারিদপুর সহ দক্ষিন পশি্চমাঞ্চেলর কাঙ্খিত স্বপনের পদ্মাসেতু। এই সেতুকে ঘিরে সেতুর দুই পাশে চলছে সাজ সাজ রব। আনন্দ আর উৎসাহের কোন শেষ নাই।

বেসরকরী হিসেব মতে,কাঁঠালবাড়িয়ার ও শিমুলিয়া মাওয়া, চরজানাজাত, সুরেশস্বর, কাওরাকান্দি,শিবচর,পাচ্চর, এলাকার কমপক্ষে ৩,৫০০ (তিন হাজার পাঁশত) ফেরী, লঞ্চ ও ঘাট শ্রমিক আছে।

এই সেতুটি চালু হলে তথা ২৫ জুন তারিখের পর এই সকল শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে। তারপরও তাদের মনে একটুও কস্ট নেই। কারন তাদের দীর্ষ ৫০ বছর আগের স্বপ্নে দেখা পদ্মাসেতু চালু হচ্ছে।

পদ্মাসেতুর খুর কাছের উপজেলা শিবচর। এখানকার ঐতিহ্যবাহী ১৫০ বছর আগের বাজার,, পাচ্চর বাজার। এই বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেনন, আনোয়ার মিয়া, দুলাল মিয়া ইনকিলাবকে জানান,
ভাই আমরা ইতিমধ্যেই বাজারে ৪/৮ টি নতুন দোকান ভাড়া নিয়েছি। নতুন কাপড়, ও ষ্টেশনারী পাইকারি মালামাল বিক্রি করববো। নতুন ২০ জন কর্মচারিও নিয়োগ দিয়েছি।

বাজারে নতুন ৪ টি বহুতল ভবন নিয়ে ক্লিনিক কাম ৫০ বেডের হাসপাতাল হচ্ছে। ৪ টি ক্লিনিকে কমপক্ষে ১৫০ জন বেকার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

নতুন নতুন প্রেস মালিকরা বিল্ডিং ভবন ভাড়া নিচ্ছেন।
১০ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রেস দেয়ার চুড়ান্ত অবস্হা আছেন, ঢাকার রামপুরার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন।

তিনি পাচ্চর বাজার এলাকার মোঃ আবুল হোসেন মিয়ার বড় ছেলে তিনি ইনকিলাবকে বললেন, আমি ঢাকার ৮ টি গার্মেন্টস এর মালিক। ৪ টি গার্মেন্টস বিক্রি করে দিয়েছি। এই বিক্রিত ২০ কোটি টাকা দিয়ে আমার বাড়ীর পাশে গার্মেন্টস করবো বলে আশা করছি।

তিনি আরো বললেন, এলাকায় গার্মেন্টস করলে আমার মাসে ১০ লাখ টাকা খরচ কমবে। এলাকার ১০০ বেকার শ্রমিক কর্মের স্হান পাবে। বাড়ী থাকবো বাড়ীতে বসে অফিস করবো। ঘরে বসে প্রতিষ্টান চালাবো।
পদ্মাসেতু নিয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা বলছেন, ভাঙ্গা উপজেলার সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ মাহবুব মিয়া, তিনি জানান, আমরা চিন্তা করছি ১০ কোটি টাকার মাঠের জমি বিক্রি করে, একটি হাসপাতাল করবো। এখানে কমপক্ষে ১০০ জন লোকের কর্মসংস্থান হবে।

ভাঙ্গা উপজেলার পুর্বসদরদির সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাহিদ শিকদার ইনকিলাবকে বলেন,আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজ বাড়ীর সামনে এবং ৪ লেন বিশ্ব রোডের পাশে বিশাল শিল্পপ্রতিষ্টান করবো।

ঢাকার ১৬ জন শিল্পপতির সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা এই ভাঙ্গায়, ৫,০০০( পাঁচ হাজর) কোটি টাকা ব্যায়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্টান গড়ে তুলবো। ইতোমধ্যে আমরা জমিও ক্রয়ে বায়নাও করছি।

আমাদের আশার বাস্তবায়ন হলে এই প্রতিষ্টানে কমপক্ষে ১০০০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।

ভাংঙ্গা উপজেলা সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ মামুন মিয়া, হাজী আব্দুল মান্নান,মোঃ শহীদুল ইসলাম,মোঃ তুরান মিয়া,মোঃ আলী আকবর। তারা ইনকিলাবকে জানান,
পদ্মাসেতু চালুতে বৃহওর ফরিদপুর হবে একটি ইকোনমিক জোন। আমরা এই সেতুর প্রতিষ্টাতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা সকলে ধন্যবাদ জানান।

পদ্মা সেতু চাল হচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এ নিয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা হয়, ফরিদপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি( ২০২-২৩) সালের পরিচালনা পর্ষদের এই অঞ্চলের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে।

তিনি ইনকিলাবকে জানান, পদ্মাসেতু আমাদের সকল ভাগ্যের পরিববর্তন আনবে এতে কোন সন্দেহ নাই।

জনাব, নজরুল ইসলাম প্রথমে আল্লাহতায়ালার উপর শুকরিয়া আদায় করে বলেন। আল্লাহতায়ালা চাইছেন তাই এই কঠিন কাজটি সহজে হয়েছে। এই সেতু নির্মানে এবং সম্পুর্ন দেশীয় অর্থায়নে এত বড় একটি অবাস্তব এবং স্বপ্নকে বাস্তব রূপদিয়েছেন একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দ্বারাই এটি সম্ভব হয়েছে। তার যোগ্যতা সাহসীকতা এবং বিচক্ষণতায় এই সেতুর কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন কান কথায় কান দেননি,ঠান্ডামাথায় হাটি হাটি পা পা করে কাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মাসেতুর বাস্তব রূপ দিয়েছেন। এটা একটি বিশাল বিজয়।

তিনি আরো বলেন এই সেতু চালুতে ফরিদপুরসহ দক্ষিন পশি্চমাঞ্চেলর ২১ জেলায় গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্টান, ব্যবসার গতি বাড়বে। হাজার হাজার গুন বৃদ্বি পাবে ব্যাবসায়ীক সেতুবন্ধন। বাড়বে ব্যাবসার ট্রানজেকশনও।

তবে তিনি মাননীয় সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনিতভাবে অনুরোধ করছেন, পদ্মাসেতু চালু করে যতো দ্রুত সম্ভব এই অঞ্চলকে গ্যাস সাপ্লাইয়ের আওতায় আনতে হবে।

যতো তাড়াতাড়ি গ্যাস সংযোগ সৃষ্টি হবে,, ততো তাড়াতাড়ি বহু শিল্পপ্রতিষ্টান ও গড়ে উঠবে। এতে বাড়বে ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্টান, সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। পন্য পরিবহন সহজ হবে। বিদেশী ব্যাবসায়ীরাও এই অঞ্চলে ব্যাবসায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।সৃষ্টি হবে নতুন ব্যাবসায়ীক উদ্যোগতা। বেড়ে উঠবে বহু বিদেশী বিনিয়োগ। যে সব ব্যাবসা চলমান আছে তারও গতি বাড়বে।

মোট কথা, পদ্মাসেতু হয়ে উঠবে ২১ জেলার উন্নয়নের চাবিকাঠি। এই অঞ্চলেই ঘটবে একটি বিশাল শিল্পবিপ্লব। ফলে হাজার হাজার বেকার শ্রমিক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা পাবেন নতুন কর্মের স্হান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন