চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে আরও একটি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত বিএম ডিপোর আগুন ও বিষ্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৯ জনে। তবে বরাবরের মতো এ দেহটির বেশিরভাগ অংশ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় নিহত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়নি। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিপোর শেডের ভেতরে ভেঙে পড়ে থাকা টিন সরাতে গিয়ে এক ব্যক্তির হাড় ও কঙ্কালের সন্ধান পায়। এদিন দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোনাইছড়ি বিএম কনটেইনার ডিপোতে গত ৪ জুন ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ড ও বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে প্রতিদিন ডিপোর তত্বাবধানে কন্টেইনার সরানো ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান কর্তৃপক্ষ। তার পাশাপাশি প্রায়ই সেখানে তদন্তে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। গতকাল সোমবার বিকাল আড়াইটায় ওই ডিপোতে তদন্তে যান বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। এসময় সীতাকুণ্ড থানার পুলিশও সেখানে উপস্থিত হন। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ এবং ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্বের মত শ্রমিকরা ডিপোর ধংসযজ্ঞ সরানোর কাজ করছিলেন। তারা একটি শেডের ভেতরে ভেঙ্গে পড়া টিন সরাতে গিয়ে সেখানে একটি পুড়ে যাওয়া মরদেহের অংশ বিশেষ দেখতে পেয়ে আমাদেরকে জানালে আমরাও সেখানে উপস্থিত হই। দেহের অংশ, হাড় ও কঙ্কাল দেখে এক ব্যক্তির মরদেহের অংশ বিশেষ বলে ধারণা করা হলেও মানুষটিকে সনাক্ত করার মতো কোনো উপায় নেই। আমরা ওই দেহাবশেষ উদ্ধার করে চমেকে পাঠিয়েছি। ওসি আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, এই একটি লাশসহ বিএম ডিপোর ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪৯ জনে দাড়িয়েছে। ভেতরে অনেক ধংসস্তুপ এখনও আছে। তাই আরো লাশ থাকাটা অসম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে এদিন বিকাল ৩টায় বিএম ডিপোতে তদন্তে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গঠিত তদন্ত টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ড. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দল। তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা ডিপোতে অবস্থান করে ফিরে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানান, এখনো তদন্ত সমাপ্ত হয়নি। তাই আমরা কিছুদিন সময় নেব। তবে তা স্যার (কমিটির প্রধান) ঘোষণা করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন