গত শতকের ৬০ দশকের একটি প্রবাদবাক্যের কথা মনে পড়ল, যার সাথে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন হুবহু মিলে যায়। প্রবাদবাক্যটি অনেকটা কবিতার ছন্দের মতো। যেমন ধরুনÑ ‘দুষ্টের শিরোমণি লঙ্কার রাজা, চুপে চুপে খাও তুমি চানাচুর ভাজা’। ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিল অনেকটা সেরকম। বুঝতে দেয়নি ডেমোক্রেটদের যে, সে দুষ্টের শিরোমণি। ফল ঘোষণার পরই গোটা পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পেরেছিল ধুরন্ধর ও চতুর এই মানুষটির আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে। গত ১১ নভেম্বর শুক্রবার আমার এলাকার স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের একটি ছোট বক্তব্য এখানে তুলে ধরা প্রয়োজন অনুভব করছি। ইমাম সাহেব বলেছিলেন, স্বয়ং আমেরিকাবাসীই বলছেÑ ট্রাম্প নয়, টেম্পো জিতেছে। একজন মার্কিন প্রবাসী বাঙালি ইমাম সাহেবকে ফোন করে এ কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প খোদ আমেরিকার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারেন। নির্বাচন-পূর্ব তার অধিকাংশ বক্তব্য ছিল কীর্তিনাশা যা আমেরিকার কীর্তিকর্মকে ওলটপালট করে দিতে পারে। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় আমেরিকার অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে মানুষ তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অসংখ্য মানুষ হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দেয়, আমরা তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানি না। ভোটের ফলাফলে তিনি জেতেননি। জিতেছেন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে, যার নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে। খোদ মার্কিনিরাই বলছেÑ এক্ষেত্রে ইলেকশন নয়, হয়েছে সিলেকশন। ইহুদি ও বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ এবং উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী লোকদের ষড়যন্ত্রে ট্রাম্প জিতেছেন। মিডিয়ার কল্যাণে এসব বক্তব্য গোটা বিশ্বে চাউর হয়েছে নির্বাচনের পরের দিনই। ট্রাম্পের অন্তর্নিহিত অবস্থা আমরা জানি না কিন্তু রেসলিংয়ের কায়দায় তার বক্তব্যগুলো যদি বাস্তবে প্রয়োগ হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো স্বাধীনতার ডাক দিতে পারে। বিশেষ করে মেক্সিকোর গা ঘেঁষা দুটো রাজ্যে ইতোমধ্যেই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হাজার হাজার মানুষ বলেছে আমরা স্বাধীনতা চাই। ট্রাম্প খেদাও নইলে স্বাধীনতার দাবি তুলব। গাড়ি ভাঙচুর, দোকানে আগুন লাগানোসহ বহুমাত্রিক সহিংসতা সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরায় প্রত্যক্ষ করলাম।
২৪০ বছরে আমেরিকার ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ২০ জানুয়ারি ২০১৭। তবে ওই দিনটি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মেক্সিকোসহ খোদ আমেরিকার অভ্যন্তরে ক্যালিফোর্নিয়াবাসীরা বৃহত্তর বিক্ষোবের মাধ্যমে স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতির অঞ্চল যা ফ্রান্সের চেয়েও শক্তিশালী, জনসংখ্যা পোল্যান্ডের চেয়ে বেশি। এই অঞ্চলে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোটের জয় পেয়েছেন। তারা স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। গণভোটের দাবিও তুলেছেন। তাই বলতে হয় আমেরিকার ভিতরগত অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। পেনসিলভেনিয়া ও অকল্যান্ড থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, অরিগন ওয়েস্ট কোস্ট, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ওয়েস্ট বোস্ট শিকাগো সর্বত্রই ট্রাম্পবিরোধী স্লোগানে মুখরিত। আমার এখনো মনে পড়ে নির্বাচনের শেষপ্রান্তে বারাক ওবামা হিলারির পক্ষে ক্যাম্পেইনে নেমে কয়েকটি মেসেজ দিয়েছিলেন তার মধ্যে যেটি প্রধান সেটিই এখন ঘটছে। তিনি বলেছিলেন, মার্কিনিরা জেগে উঠুন- ভোট দিন যোগ্য মানুষটিকে, যদি আমেরিকাকে সম্মানের সাথে বাঁচাতে চান। ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি একজন ভয়ঙ্কর মানুষ, বিপজ্জনক আমেরিকার জন্য এবং গোটা বিশ্ববাসী ভোগান্তির কবলে পড়ে যাবে। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ এই ব্যক্তিটি অঢেল অর্থবিত্তের মালিক, ব্যবসাই ভালো বোঝেন কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় অঘটন ঘটিয়ে ফেলবেন। বারাক ওবামা দুই টার্মে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে যে বক্তব্যগুলো দিয়েছিলেন তা আমি ডায়েরিতে নথিভুক্ত করেছিলাম। যেটা এখন খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন ইতিহাসে নির্বাচন-পরবর্তী স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে কোনো অঙ্গরাজ্য থেকে এমন নজির আমার জানা নেই।
অন্যদিকে ট্রাম্পের জয় ইউরোপের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। চীনা সামগ্রী আমদানির ওপর নতুন করে কর চাপাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এতে বাণিজ্য যুদ্ধ পুরো মাত্রায় আরম্ভ হয়ে যেতে পারে। নিজ দেশেও আমেরিকা সংকটে পড়বে। কারণ ট্রাম্প এর মধ্যেই প্রমাণ করেছেন তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। তার প্রমাণ তিনি নির্বাচনের পূর্বেই স্পষ্টভাবে বলেছেনÑ তিনি যদি হেরে যান তাহলে ফলাফল মেনে নেবেন না। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে জেলে ঢুকাবেনÑ এ হুমকিও দিয়েছিলেন। নির্বাচনপূর্ব বিভিন্ন জরিপের ফল বিবেচনা করে সিএনএন জানিয়েছিল, শ্বেতাঙ্গ পুরুষরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল সমর্থক। অন্যদিকে হিলারি স্বল্প আয়ের ভোটারদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। জরিপ সে কথাটিরই প্রতিধ্বনী করেছে। এবার আসুন মার্কিন মুল্লুকে সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কে কী বলেছেন সেদিকে নজর দেয়া যাক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্যাসোয়া ওঁলাদ এক বাক্যে তার মত প্রকাশ করেছেন এভাবেÑ গোটা বিশ্বে আজ থেকে অনিশ্চয়তার যুগ শুরু হলো। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাউদিয়া রুইস মাসিয়ের উক্তিÑ ট্রাম্প বলেছেন, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা হবে এবং অর্থ দেবে মেক্সিকো। কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনায় দেয়ালের জন্য অর্র্থ প্রদান বাতিলযোগ্য। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মন্তব্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের প্রতিফলন।
জামার্নির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এ নির্বাচনের ফল জার্মানির অধিকাংশ মানুষ যা আশা করেছিল তার সম্পূর্ণ বিপরীত, কিন্তু আমরা তা মেনে নিচ্ছি। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বলেছেন, স্বাগত জানাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কারণ বেফাঁস শব্দ চয়নের মধ্যে আমরা দুজনই সুপরিচিত। আমরা দুজনই গালমন্দ করি। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চরম অশিষ্ট ভাষায় গাল দিয়েছেন তিনি। সেই থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল হয়ে যায়। গণমাধ্যমে সিপিজের বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। এ ছাড়া ভোটারদের অর্থনৈতিক হতাশা অভিবাসন বিরোধিতা, বাণিজ্য উদারীকরণের কারণে বেকারত্ব, নারীবিদ্বেষী সংকীর্ণতা, এফবিআইয়ের ভূমিকা কিংবা বিশ্বরাজনীতি প্রসঙ্গগুলো ছিল সমালোচনামুখর।
অতি চতুর এই ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়ে হোয়াইট হাউসে বসার দিন কয়েক পর যে কাজগুলো দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করবেন তার মধ্যে প্রধান বিষয়টি হলো ওবামার সকল সাফল্য মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন। মার্কিনিদের কাছে ওবামার প্রধান কৃতিত্ব ওবামা কেয়ার, জলবায়ু চুক্তি ও আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা চুক্তি বাতিল করে দিতে পারেন ট্রাম্প। তাছাড়া ওবামা প্রায় সাড়ে সাত লাখ বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসীর স্বল্পকালীন স্বস্তির যে ব্যবস্থা করেছিলেন তাও বাতিল করবেন বলে মনে হচ্ছে। এমন কি তিনি ৩০ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন বলেও ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সহাবস্থান মেনে নিতে চাইছেন না অতি উগ্রবাদী রক্ষণশীল নেতা সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওবামা প্রশাসনের প্রধান অর্জন ওবামা কেয়ার সবার স্বাস্থ্যসেবার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও কাটছাঁট করার পক্ষপাতী ট্রাম্প। ট্রাম্পের আগমনে সোয়া কোটি অভিবাসীর সুযোগ-সুবিধা কতটুকু থাকবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ট্রাম্প যতগুলো কথা বলেছেন তার মধ্যে সন্দেহ প্রবণতার মাত্রাটাই ছিল বেশি। বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক দল দুটির মধ্যে যদি ঐক্য বিরাজ না করে তাহলে মার্কিনিদের কপালে বড় ধরনের দুঃখ অপেক্ষা করছে। ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের মূল কারণও সেটা। পৃথিবীতে গণতন্ত্র তখনই অটুট থাকে যখন গণতান্ত্রিক কোনো রাষ্ট্রে সরকারি দল ও বিরোধী দল জাতীয় স্বার্থে এক হয়ে মিলেমিশে কাজ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিগত ২০ বছরের মধ্যে সর্ববৃহৎ এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বড় দুটো দলের মধ্যে এই প্রথম ফাটল সৃষ্টি হলো। একগুঁয়েমি মনোভাবাপন্ন ট্রাম্প তার বিগত ১৮ মাসের বক্তব্য থেকে ফিরে না এলে শুধু মার্কিন আকাশে নয়, গোটা বিশ্বের আকাশে দুর্যোগের অমানিশা অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের (সূত্র সিএনএন)।
সম্প্রতি সিএনএন বাংলাদেশে মধ্যরাতের খবর পর দেখে বুঝলাম, মার্কিন মুল্লুকে ক্ষোভের আগুন নিভানো কঠিন হবে। কারণ ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা মার্কিনিদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। ১৮ মাসের বিগত সময়ের বক্তব্য যা অনেকটা আক্রমণাত্মক, বর্তমানে সুর নরম হলেও হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস দখল নেওয়ার পরে পূর্বের চেহারায় যে সে আবির্ভূত হবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে। জিতলে ক্ষমতা নেওয়ার পর হিলারিকে জেলে ঢুকাবÑ এ বক্তব্যটি চরম আক্রমণাত্মক। তার আরেকটি আক্রমণাত্মক বাক্য ছিল পৃথিবী নামক এই গ্রহে নয়, মুসলমানদের মঙ্গলগ্রহে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, আলাস্কা মসজিদ এলাকা পুরোটাই ইহুদিদের। ইসরাইলিদের জন্য আমি অনেক কিছু করব তা এখন বলব না। পুতিন এবং মোদি হবে প্রকৃত বন্ধু। গালফ রাষ্ট্রে অর্থ ব্যয় করা অপাত্রে অর্থ ব্যয়ের শামিল। চীনের মালামাল আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করব। এই রাষ্ট্র শ্বেতাঙ্গদের, অভিবাসীদের নয়। তাদের ব্যাপারে আমি কঠোর হব। শ্বেতাঙ্গদের ব্যবসা-বাণিজ্য তারা কেড়ে নিয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধে হবে আমার অবস্থান। মুসলমানরাই হলো জঙ্গি সম্প্রদায়ের মানুষ। মুক্তবাজার অর্থনীতি এই ডায়লগ তার পছন্দ নয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জিএসপি নিয়ে কোনো শীতলতা প্রদর্শন করবে না। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোটাতেই মার্কিনিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সর্বাবস্থায় উগ্রনীতি ও কঠোর পন্থায় বিশ্বাসী এই অনভিজ্ঞ হালের ব্যবসায়ী রাজনীতিক দ্বারা বিশ্বের উপকার তো নয়ই, মার্কিনিদেরও বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে বলে আমরা মনে করি।
তবে আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে একটি বিষয়ের জন্য ধন্যবাদ জানাব। সেটি হলোÑ সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গদের তুষ্টি অর্জনে তিনি সক্ষম হয়েছেন। পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভোট ব্যাংক হিসেবে নিজের পক্ষে আনতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। দ্বিতীয়ত স্বদেশি চেতনা ও তাদের মৌলিক স্বার্থের কথা আঙ্গুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অভিবাসীর ভোট ব্যাংক মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ। সে কারণে এ বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো সংখ্যাগরিষ্ঠদের বুঝিয়ে দিয়েছেনÑ তোমরা যেন বেকার না থাক। হতদরিদ্র না থাক। সর্বদা দুধেভাতে থাকার ম্যাসেজটা সময়োপযোগী বলেই আমার ধারণা। অনেকেই আইএসএর অর্থ জোগানদাতা হিসেবে মনে করেন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে। দাতারা এবং সোদি আরবের অনুদানে চলে এই প্রতিষ্ঠানটি, বিষয়টি উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গরা ভালোভাবে নেয়নি। হিলারির ভোটব্যাংক কমার এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে ভারতের মোদি ভোটের আগে এরকম নির্বাচনে জেতার পরে ভিন্নরূপ, ট্রাম্পও সেরকম বদলে যেতে পারেন। সবকিছুই এখন বলা যাবে না কারণ কেউ কেউ পরিবর্তন হন ক্ষমতায় যাওয়ার পর। আবার ভয়ানক কাজও করেন। ব্লেয়ার এবং বুশ তাই করেছেন। সুতরাং নীতি বদলাবে এটা বিশ্বাস হয় না। মধ্যপ্রাচ্যের আগুন জ্বালিয়েছে রিপাবলিকানরাই। ১০ লাখ মানুষের হত্যাযজ্ঞ গোটা বিশ্বে তারাই ঘটিয়েছে। সেই দলেরই সদস্য ট্রাম্প। তাছাড়া, ট্রাম্প তার ভবিষ্যৎ প্রশাসন যাদেরকে নিয়ে সাজাতে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও আশঙ্কাটা বাড়ছে। কেননা, এদের বেশির ভাগই কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী এবং যুদ্ধবাজ বলেই পরিচিত। তাই ট্রাম্পের শাসন কেমন হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
য় লেখক : গ্রন্থাকার, গবেষক ও কলামিস্ট
যধৎঁহৎধংযরফধৎ@মসধরষ.পড়স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন