স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আদলেই হবে কালুরঘাট সেতু। কর্ণফুলী নদীর ওপর ওই নতুন সেতু নির্মাণের প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছে কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী, ৭৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুর ওপরে থাকবে দুই লেইনের সড়ক এবং নিচে থাকবে দুই লেইনের রেললাইন। বিদ্যমান কালুরঘাট সেতু থেকে ৭০ মিটার উজানে অর্থাৎ উত্তরে নতুন সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা, যা আগে প্রস্তাবিত ব্যয়ের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।
গতকাল বুধবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্ভাব্য দাতা সংস্থা কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রতিষ্ঠান ইওসিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন বা দোহা প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়ায় গতি ফিরেছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য মোছলেন উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১০ সালে কর্ণফুলী সেতু উদ্বোধন করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন জনসভায় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন কালুরঘাটেও একটি নতুন সেতু হবে। যে সেতুতে গাড়ি এবং নিচে ট্রেন চলতে পারবে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেতুর কাজ শুরু করা যায়নি। আশাকরি এখন আর কোন সমস্যা হবে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগস্ট মাসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ বছরেই সমস্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে। পদ্মা সেতুর আদলে এ সেতু নির্মিত হবে। সেতুতে মোট তিনটি লাইন থাকবে। এ সেতুর সমস্ত ব্যয় বহন করবে কোরিয়ান সরকার। এছাড়াও একটি সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। সেটি করবে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন