পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতে সড়ক যোগাযোগ সহজ করেছে। রাজধানী থেকে যেসব এলাকায় যেতে দিনের পর দিন কষ্ট করতে হতো সেসব এলাকায় এখন যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টা। পদ্মা ওপারের লোকজন এখন দিনে দিনেই ঢাকা থেকে কাজ সেরে বাড়িতে ফিরতে পারেন। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। এই রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলোতে ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩ রুটে সরকার বাস ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও মানছে না পরিবহন কোম্পানিগুলো। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির বাসেও আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। রাজধানীর এমন চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে বিআরটিসির নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন কাউন্টারের লোকজন। তাছাড়া যখনই গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়, তখনই তারা যাত্রীদের কাছ থেকে খুলনা ও পিরোজপুরের ভাড়া আদায় করেন। আগে কয়েকটি পরিবহনের বাস এ রুটে চলাচল করলেও বর্তমানে সব বাস পার্শ্ববর্তী জেলা খুলনা ও পিরোজপুর পর্যন্ত চলাচল করছে এবং তারা গোপালগঞ্জের যাত্রী নিচ্ছে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে।
যাত্রীরা বলছেন, বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যের টিকিট চাইলে দেয়া হচ্ছে না। টিকিট শেষ বলা হয়। কিন্তু আরো বেশি দূরত্বের টিকিট কটার পরামর্শ দেন তারা। বাধ্য হয়েই যাত্রীদের বেশি দূরত্বের স্থানের টিকিট কাটতে হয়। এতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। আবার সব রুটে বিআরটিসির বাস না থাকায়ও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পদ্মা সেতুর টোল সংযোজন করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এতে ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুরের ভাড়া ২৮৮ টাকা করা হয়েছে। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া হয়ে খুলনার দূরত্ব ২০৭ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের ১২ রুটের যাত্রীবাহী বাসের ভাড়া ৫৩৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। কিন্তু প্রত্যেকটি রুটেই বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) ডিজিএম (অপারেশন) শুকদেব ঢালী বলেন, বিআরটিসির বিষয়ে অভিযোগ জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। রুটে যে স্টপেজ পর্যন্ত যাত্রী যাবেন, সে পর্যন্তই ভাড়া নেয়া হবে। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন