২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক বিশ^নাথ ম-লের আদালতে সাক্ষ্য দেন এ মামলার সাক্ষী কলারোয়ার শহিদুল ইসলাম।
তবে আসামি জাবিদ হাসান লাকী অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষীর জেরা করেনি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় দ্বিতীয় দিন একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৯ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ জানান, ৪০ জন আসামির মধ্যে জাবিদ হাসান লাকী অসুস্থতাজনিত কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানোর আবেদন করেছিলাম। এ অবস্থায় শহিদুল ইসলামের সাক্ষ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করা থেকে বিরত ছিলাম।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে কলারোয়ায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মী চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির।
এর আগে গত ১৪ জুলাই অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন