জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলা কার্যালয় বাজার তদারকি অভিযানে আজ (২৬ জুলাই ) মঙ্গলবার সৈয়দপুরে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩৭ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
ক্রেতার কাছে ন্যায্যমূল্যের চেয়ে বেশিমূলে চার্জার ফ্যান (পাকা) বিক্রি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ক্রয়-বিক্রয় রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা এবং হোটেলের রেফ্রিজারেটরে (ফ্রিজ) কাঁচা মাছ মাংসের সঙ্গেআগের দিনের রান্না কর খাবার এবং ময়দার খামির রাখার অপরাধে ওই জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা – অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক (এডি) মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে প্রথমে সৈয়দপুর শহরের শেরে বাংলা সড়কে বাজার তদারিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উল্লিখিত সড়কের মেসার্স সাজু ইলেকট্রিক দোকান মালিকের কাছে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী’র ক্রয়-বিক্রয় রশিদ দেখতে চাওয়া হলে তা দেখাতে ব্যর্থ হন। ফলে দোকানের ইলেকট্রনিক্স্ পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক সামসুল হকের তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও ন্যায্যমুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে চার্জার ফ্যান বিক্রির দায়ে একই সড়কের নিপা ইলেকট্রিকের মালিক এস এম জিয়া এবং বাতিঘর এর মালিক মো. একরাম হোসেনের প্রত্যেকের সাত হাজার টাকা করে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যদিকে, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের তাজির উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেলের একটি রেফ্রিজারেটরে কাঁচা মাছ ও মাংসের সঙ্গে আগের দিনের রান্না কর খাবার এবং ময়দার খামির সংরক্ষণের অপরাধে প্রতিষ্ঠাটির স্বত্ত্বাধিকারী মো. মতিয়ার রহমানের ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে বাজার তদারিক অভিযান চালিয়ে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারী পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলতাফ হোসেন সরকার ও থানা পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকারের সংরক্ষণ অধিপ্তরের নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, এ বাজার তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন