বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব

দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে সালমান এফ রহমান

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপন এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। ওরা হচ্ছে ল্যান্ডলকড দেশ, তাদের কোনো সমুদ্রসৈকত নেই। আমরা বলেছি, আমাদের কক্সবাজার তাদের জন্য ভালো একটা ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘উজবেকিস্তান-বাংলাদেশ থার্ড ইন্টাগভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড অ্যা ইকোনমিক কো-অপারেশন’ শিরোনামের বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়েও ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয় বলে জানান তিনি। সালমান এফ রহমান বলেন, তাদের সামারখান্দ-বোখারা নগরীতে একটা জিয়ারা ট্যুরিজম সম্ভাবনা রয়েছে। এটা একটা প্যাকেজ হতে পারে। ওখান থেকে লোকজন আসলো কক্সবাজারে, আর আমরা এখানে থেকে গেলাম সামারখান্দ-বোখারায়।

এই উপদেষ্টা বলেন, উনাদের (উজবেকিস্তানের) কাছে কাঁচামাল, বিশেষ করে তুলা আছে। আমাদের এখানেও এক্সপার্টিজ আছে। সুতরাং যৌথভাবে এই খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করা যায়, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন বিটিএমএ কাজ শুরু করেছে। আরেকটা খাত হচ্ছে ওষুধ শিল্প। তাদের ওখানে ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টর অতটা ডেভেলপ করে নাই, যেটা বাংলাদেশে হয়েছে। আমরা সেখানে সরাসরি ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারি, আবার বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রফতানিও হতে পারে। আমাদের চামড়া শিল্পে ও তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে, সেটা নিয়েও আমরা আলাপ করেছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলসহ উজবেকিস্তান সফর করেছিলেন। পরে উজবেক প্রতিনিধিদল এসেছিল বাংলাদেশে।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন হবে, এমন কিছু বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যেমন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা কিভাবে উন্নত করা যায়, একদেশ কিভাবে আরেক দেশে বিনিয়োগ করতে পারি, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তুলা উৎপাদনে তারা অনেক এগিয়ে আছে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টেক্সটাইল মিল খাতে তারা বিনিয়োগ করতে পারে। তারাও এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উজবেকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী জামশেদ কাদজায়েভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, গত ১০ বছরে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রফতানি ছয়গুণ বেড়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে যেখানে ৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছিল, সেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ২৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ কমতে থাকায় একসময়ের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এখন প্রবৃদ্ধিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ উজবেকিস্তান থেকে ৬২২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। ওই বছর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬১৭ মিলিয়ন ডলার। আর বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাত্র ৪৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করার ফলে ১৯ মিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত থেকেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন