ভোলা সদর থানার ওসি( তদন্ত) আরমান হোসেন সহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে ভোলার ভোলার চীপ জুডিশিয়াল কোর্টে মামলা করেছে পুলিশের গুলিতে নিহত রহিমের স্ত্রী বিবি খাদিজা বেগম। খাদিজা পুলিশে গুলিতে নিহত সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহীমের স্ত্রী।
উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ভোলা সদর হাসপাতালে নিহত হয় আব্দুর রহীম। স্বামী হত্যা কান্ডের বিচার চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন তিনি।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৮ আগষ্ট সোমবার পোসমর্টেম রিপোর্ট সহ সকল কাগজপত্র জামাদানের নির্দেশ দিয়েছেন ভোলা সদর থানাকে। ঐ দিনই মামলার শুনানী ধার্য করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে বাদী খাদিজা ভোলার বানী কে বলেন, সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে সদর থানার ওসি তদন্ত আরমান ও কতিয় পুলিশের অ-পেশাদার সদস্য খুব নির্মম ভাবে আমার স্বামীকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। এই নির্মম হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে আজ আমি ৪ টি দুধের সন্তান নিয়ে দিশে হারা।
ভোলায় নিহত দুই নেতার পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছেসেবক দলের সদস্য আ. রহিমের বাড়িতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ প্রতিনিধি দল। ভোলা শহরের ৫নং ওয়ার্ডের চরনোয়াবাদ এলাকায় নুরে আলমের বাড়িতে যান নেতারা।
এ সময় নিহতের স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।
বিএনপির প্রতিনিধি দল নিহতদের পরিবারকে শান্তনা দিয়ে তাদের পাশে থাকার কথা জানান।
এর আগে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের নিহত রহিমের বাড়িতেও দেখা গেছে একই পরিস্থিতি।যারা আমার সাজানো সংসার নষ্ট করেছে আমি তাদের বিচার চেয়ে মামলা করেছি। আশা করি আমি বিচার পাবো।
এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎখনিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন