শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

বাংলা উপন্যাসের প্রথম কারিগর

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুতুবউদ্দিন আহমেদ
দেখতে দেখতে বাংলা উপন্যাসের বয়স পাঁচ-দশ বছর নয়, প্রায় দেড়শ’ বছর পার হয়েছে। সে বিবেচনায় বাংলা উপন্যাসের বয়স খুব যে বেশি হয়েছে তা বলা যায় না। মহাকালের বিচারে, সাহিত্যের উৎকর্ষমাত্রায় দেড়শ’ বছর এমন আর কী বয়স হতে পারে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, উৎকর্ষের বিচারে বাংলা উপন্যাস কতদূর এগিয়েছে? প্রকৃত প্রস্তাবে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে গেলে বলা যায় যে বাংলা উপন্যাস যথেষ্ট পরিপুষ্ট হয়েছে। শুধু পরিপুষ্ট হয়েছে বললেই মনের ভাবটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয় না; বলতে হয় যথেষ্ট পরিমাণে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে। জোর দিয়েই বলা যায় যে বিশ্বের আর সব শক্তিশালী ভাষা থেকে বাংলা উপন্যাস কোনো দিক থেকেই পিছিয়ে নেই। এর ইতিহাসের ঝুঁড়িতে রয়েছে অসংখ্য পরিপুষ্ট, বলবান ও সার্থক উপন্যাস। এর কারণ সম্পর্কে কী বলা যায়? এর কারণ খুঁজতে গেলে নানাবিধ কারণ বের হয়ে আসতে পারে। তবে সম্ভবত প্রধান কারণটি হতে পারে যে বাঙালি আবেগপ্রবণ, বাঙালি ভাবুক, বাঙালি কল্পনাবিলাসী, বাঙালি বোহেমিয়ান, বাঙালি সহসা লাভ-ক্ষতির হিসেব কষে না, বাঙালি কথার কাঙাল। এ-জাতিকে এ-ধরনের অনেক বিশেষণে বিশেষায়িত করা যেতে পারে। বাঙালির এ-সবকটি গুণই স্বভাবজাত বা বলা যায় জন্মগত। তাই বলা যায় বাঙালি জন্মই নেয় সাহিত্যিক সত্তা নিয়ে; বাকি থাকে কেবল বিকাশটুকু। তাই একটু বিকাশের পথ পেলেই বাঙালির অনেকেই বড়-বড় সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় কি-না ঠিক বলা যায় না, বাঙালির মধ্য থেকে বের হয়ে এসেছেন বড়-বড় ঔপন্যাসিক; তাদের কেউ কেউ আবার বলা যায়, বিশ্বমানের ঔপন্যাসিকে উন্নীত হয়েছেন।
      কালে কালে পথ পথিক সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের স্রষ্টা। কিন্তু পথের সৃষ্টিটা বড় কঠিনকর্ম। সকলেই পথ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় না, সকলের ভাগ্যে সে সৌভাগ্য জোটেও না। তবে পথ যারা সৃষ্টি করে, তারা সাধারণ কোনো মানুষ নয়। আটপৌরে কোনো মানুষ পথের স্রষ্টা হতে পারে না। নতুন পথের স্রষ্টা যাঁরা, তাঁদের নাম মহাকাল স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখে।
      প্যারিচাঁদ মিত্র এমনই একজন যুগান্তকারী স্রষ্টা; যিনি বাংলা উপন্যাসের পথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন; এবং তিনিই এ পথের প্রথম পথিক। মহাকাল তাঁকে স্বর্ণের জ্বলজ্বলে অক্ষরে লিখে রেখেছে। বলা বাহুল্য বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’ [ ১৮৫৮ ] তাঁরই সৃষ্টি।
      প্যারিচাঁদ নিজেই ছিলেন একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। পত্রিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিল তৎকালীন অবহেলিত নারীসমাজের দুঃখ-সুখের কথা লিখতে; নাম ছিল ‘মাসিক পত্রিকা’ [১৮৫৪]। প্যারিচাঁদের এ-পত্রিকাটিতেই ধারাবাহিক প্রকাশ হতে থাকে আলালের ঘরের দুলাল। পত্রিকাটির প্রথমবর্ষের ৭ম সংখ্যা থেকে অর্থাৎ ১৮৫৫’র  ফেব্রুয়ারি থেকে এটি প্রকাশ হতে থাকে; শেষ হয় ১৮৫৭’র জুনে অর্থাৎ তয় বর্ষের ১২শ সংখ্যায়। ১৮৫৮ সালে এটি সর্বজনীনভাবে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়।
      প্যারিচাঁদ উপন্যাসটি লিখতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন কয়েকটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে। তিনি ছিলেন তৎকালীন কলকাতার সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিত্ব। নানান সামাজিক কর্মকা-ে তিনি বলা যায় অস্বাভাবিকভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সামাজিক নানান কর্মকা-ে জড়িয়েছিলেন বলেই সামাজিক সমস্যাগুলো তিনি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছিনেন। এবং সামাজিক এ-সমস্যাগুলোকে উপজীব্য করেই তিনি লিখেছেন আলালের ঘরের দুলাল। নিছক মনের আনন্দে সাহিত্যসৃষ্টি তার উদ্দেশ্য ছিল না। গ্রন্থটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি লিখে জানিয়েছেন Ñ
      ‘অন্যান্য পুস্তক অপেক্ষা উপন্যাসাদি পাঠ করিতে প্রায় সকল লোকেই মনে স্বভাবত অনুরাগ জন্মিয়া থাকে এবং যে স্থলে এতদ্দেশীয় অধিকাংশ লোক কোন পুস্তাকাদি পাঠ করিয়া সময়ক্ষেপণ করিতে রত নহে সে স্থলে উক্তপ্রকার গ্রন্থের অধিক আবশ্যক, এতদ্বিবেচনায় এই ক্ষুদ্র পুস্তকখানি রচিত হইল।’
      উপন্যাসটির ঢ়ৎবভধপব-এ তিনি তৎকালীন প্রচলিত শিক্ষা সম্পর্কে লিখেছেনÑ
      ‘ওঃ পযরবভষু ঃৎবধঃং ড়ভ ঃযব ঢ়বৎহরপরড়ঁং বভভবপঃং ড়ভ ধষষড়রিহম পযরষফৎবহ ঃড় নব রসঢ়ৎড়ঢ়বৎষু নৎড়ঁমযঃ ঁঢ়, রিঃয ৎবসধৎশং ড়হ ঃযব বীরংঃরহং ংুংঃবস ড়ভ বফঁপধঃরড়হ, ড়হ ংবষভ ভড়ৎসধঃরড়হ ধহফ ৎবষরমরড়ঁং পঁষঃঁৎব---’
       হিন্দুদের পারিবারিক জীবন ও তাদের প্রচলিত বাকরীতি সম্পর্কেও তিনি তুলে ধরে বলেছেন,
      ‘ঞযব ড়িৎশ যধং নববহ ৎিরঃঃবহ রহ ধ ংরসঢ়ষব ংঃুষব, ধহফ ঃড় ভড়ৎবরমহবৎং ফবংরৎড়ঁং ড়ভ ধপয়ঁরৎরহম ধহ রফরড়সধঃরপ শহড়ষিবফমব ড়ভ ঃযব ইবহমধষর ষধহমঁধমব ধহফ ধহ  ধপয়ঁধরহঃধহপব রিঃয ঐরহফঁ ফড়সবংঃরপ ষরভব, রঃ রিষষ ঢ়বৎযধঢ়ং নব ভড়ঁহফ ঁংবভঁষ.’
       উপন্যাসটির বিষয়বস্তু তৎকালীন সমাজের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি। কলকাতাস্থ বৈদ্যবাটির ধনাঢ্য ব্যক্তি বাবুরাম বাবুর পুত্র মতিলাল তার পিতামাতার অত্যধিক আদরে এবং উপযুক্ত শাসনের অভাবে কুসঙ্গে পড়ে কেমন অধঃপাতে গেল সেই বিষয়টিকেই লেখক উপজীব্য করেছেন। পরে অবশ্য তিনি দেখিয়েছেন নানা দুঃখভোগের মধ্যদিয়ে একদিকে যেমন মতিলালের বিবেক দংশন ঘটেছে, সেইসঙ্গে এক পুণ্যাত্মা ব্যক্তির সাহচর্যে সে আমূল পরিবর্তিত হয়েছে। যে মতিলাল তার মাকে চপেটাঘাত করায় মনঃদুঃখে তার জননী গৃহত্যাগিনী হয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত সেই জননীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে, দেখা হয়েছে তার পতœীর সঙ্গে এমনকি তার ছোটভাই রামলালের সঙ্গেও। গ্রন্থটিতে যে আখ্যান উপস্থাপিত হয়েছে তাতে নতুনত্ব তেমন কিছু নেই, তাছাড়া আখ্যানের বৈচিত্র্যেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। অভাব রয়েছে চিন্তার গভীরতারও। তবে নিপুণ কথার বুননে লেখক শেষপর্যন্ত উপন্যাসটিকে মনোগ্রাহী করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। সম্ভবত বাংলা ভাষার এই গ্রন্থখানিই সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষের দোড়-গোড়া পর্যন্ত ব্যাপকভাবে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল; এবং প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
     উপন্যাসটির চরিত্রগুলোকে মোটাদাগে দুইভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একভাগে পড়ে আদর্শভ্রষ্ট, নীতিজ্ঞান বিবর্জিত, অমানবিক, স্বার্থপর, স্ত্রৈণ মানুষগুলো। অপরভাগে পড়ে উদারনীতিপরায়ণ, মানবিকগুণে ম-িত, ন্যায়নীতিবোধসম্পন্ন আদর্শপরায়ণ মানুষগুলো।
      প্রথমপর্যায়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্রটি হচ্ছে ঠকচাচা। তাছাড়া মতিলাল, বাঞ্ছারাম, বক্রেশ্বর বাহুল্য, হলধর, গদাধর প্রমুখ চরিত্রগুলোও এই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
      দ্বিতীয় পর্যায়ের চরিত্রগুলো বরদা, রামপাল, বেণীবাবু প্রমুখের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।

 প্যারিচাঁদ মিত্র ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুলাই কলকাতার এক সফল ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন নামকরা ব্যবসায়ী রামনারায়ণ মিত্র। শৈশবে প্যারিচাঁদ সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষা শেখেন। তার বয়স যখন ১৩, তখন তিনি তৎকালীন হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। হিন্দু কলেজের বিখ্যাত অধ্যাপক হেনরি ডিভিয়ার ডিরোজিওকে সরাসরি শিক্ষক হিসেবে পান। তবে তিনি ইয়ংবেঙ্গল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিলেন। ছাত্র হিসেবে তিনি মেধাবী ছিলেন কিন্তু নাস্তিক ছিলেন না। তিনি যোগসাধনা, ধ্যান ইত্যাদির পক্ষপাতি ছিলেন। অলৌকিকতায় ছিল তার গভীর বিশ্বাস। ভারতীয় আচার-ঐতিহ্যের প্রতি ছিল তার গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা। বলা যায় প্যারিচাঁদ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মেলবন্ধন তৈরিতে নিয়োজিত ছিলেন। হয়তো এ কারণেই তিনি বাংলা উপন্যাসের মডেল না থাকা সত্ত্বেও ইংরেজি অনুসরণে বাংলা উপন্যাস লিখনে হাত দিয়েছিলেন।
     ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন; ‘ঈধষপঁঃঃধ চঁনষরপ খরনৎধৎু’ এ সহকারী গ্রন্থগারিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৮৪৭-এ একই লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান ও সেক্রেটারি পদে উন্নীত হন।
     প্যারিচাঁদ কলকাতার যাবতীয় সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। জ্ঞানোর্পাজিকা সভার [১৯৩৮] তিনি যুগ্মসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বেঙ্গল-ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির [১৮৪৩] সম্পাদক পদে নিয়োজিত ছিলেন; ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া এসোসিয়শেনের [১৮৫১] কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন, পশুক্লেশ নিবারণী সভার সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন। বঙ্গদেশীয় সামাজিক বিজ্ঞানসভার যুগ্মসম্পাদক ছিলেন ১৮৬৭ থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য হিসেবেও তাকে দেখা গেছে [১৮৬৮Ñ১৮১৮৭০]। মূলত তারই চেষ্টায় ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে পশুক্লেশ নিবারণ আইন, আইনসভায় পাশ হয়। ‘থিওসফিকাল সোসাইটি’র বঙ্গীয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন ১৮৮২ সালে।
      প্যারিচাঁদের বড় একটি পরিচয়, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, মানবহিতৈষী, মানবদরদি, নিষ্ঠাবান সংগঠক, দেশ, জাতি ও ঐতিহ্যের প্রকৃত একজন ধারক ও বাহক। তবু সবকিছু ছাপিয়ে প্যারিচাঁদ একজন লেখক; বাংলা উপন্যাসের স্থপতি; আলালের ঘরের দুলালের স্রষ্টা। আলালের ঘরের দুলালের পরেও তিনি পাঠকের চাহিদার কথা চিন্তা করে বেশ কিছু পুস্তক রচনায় হাত দিয়েছিলেন। এই পুস্তকগুলোও যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। গ্রন্থগুলো : মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায় [১৮৫৯], রামারঞ্জিকা [১৮৬০], কৃষিপাঠ [১৮৬১], গীতাঙ্কুর [১৮৬১], যৎকিঞ্চিত [১৮৬৫], অভেদী [১৮৭১], ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত [১৮৭৮], এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্বাবস্থা [১৮৭৯], আধ্যাত্মিকা [১৮৮০], বামাতোষিণী [১৮৮১]।
     প্যারিচাঁদ মিত্র উনবিংশ শতকের বাংলার নবজাগরণে অনেকটাই নেতৃস্থানীয়। তৎকালীন বিভিন্ন প্রগতিমূলক কাজের সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ট যোগ। তার চোখে পড়েছে এমন হিতৈষী কাজ তিনি ফেলে রেখে পাশ কাটিয়ে যাননি। সমাজ ও মানুষের প্রতি ছিল তার অসংবাদিত দায়বদ্ধতা। তিনি দেশকে ভালবেসেছেন, দেশের মানুষকে ভালবেসেছেন, দেশের সংস্কৃতিকে ভালবেসেছেন, দেশের ঐতিহ্যকে ভালবেসেছেন। নারী শিক্ষার প্রতি ছিল তার বিশেষ নজর। তার পিতামহ, জননী এবং জননীস্থানীয়রা বাংলা পড়তে জানতেন, লিখতে জানতেন; এমনকি তার স্ত্রীও বাংলায় ভালো পড়তে ও লিখতে পারতেন। ওই সময়ে নারীরা পড়বে, জানবে এমন কোনো লিখিত গ্রন্থ ছিল না। তাই তিনি স্ত্রী শিক্ষার উপযোগী করে গ্রন্থ লেখায় হাত দেন। বাল্যবিবাহের ঘোরবিরোধী ছিলেন তিনি। পরিবেশ সচেতনাও ছিল তার প্রচ- রকমের। মদ্যপানের ঘোরবিরোধী ছিলেন, মদ্যপানরোধে তিনি বেশকিছু লেখাতেও হাত দেন। এককথায় প্যারিচাঁদ ছিলেন অতি সামাজিক মানুষ, সমাজকে তিনি দেখেছেন একেবারেই নিজের করে; আর এখানেই তার জীবনের চরমতম সার্থকতা; লেখক হিসেবে যেমন সার্থক হয়েছেন ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Millat ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৪১ এএম says : 0
He is the Boss
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন