সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানা এলাকায় ময়মনসিংহের এক যুবতীকে তিনদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে এক নারীসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জালালাবাদ থানাধীন নাজিরেরগাঁও’র একটি বাড়িতে ওই যুবতীকে গত ১৯ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত আটকে রাখে ধর্ষকরা। ফেসবুক ফ্রেন্ড জুলেখার আমন্ত্রনে সিলেট ঘুরতে এসেছিলেন ময়মসিংহের ২৩ বছরের এ যুবতী। কিন্তু ঘুরতে আসা কাল হয়েছে তার জীবনে। কথিত বান্ধবীর সহায়তায় দু’দফায় তাকে ধর্ষন করেছে ৭ জন পাষন্ড।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খানের বরাত দিয়ে জানান- ১৯ আগস্ট রাত ৯টা থেকে ২১ আগস্ট দিবাগত রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত নাজিরেরগাঁওয়ের জুবায়ের হোসেনের স্ত্রী জুলেখা ওরফে জুলির (১৯) ঘরে ভিকটিমকে আটকে রেখে ৭ জন মিলে ধর্ষণ করেন। এ কাজে সহযোগিতা করে ফেসবুক ফ্রেন্ড জুলেখা ্ওরফে জুলি।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সে অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সিলেটের জালালাবাদ থানায় মামলা (নং-২৪) দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জুলেখা জুলি, জুবায়ের হোসেন (২৮) ও জয়নাল মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করে। জুলেখা জুলির বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুরে। সে মেরুয়াখলা গ্রামের আবুল কালামের বিবাহিত কন্যা। জুবায়ের হোসেন সুনামগঞ্জ সদর থানার হাছননগর গ্রামের জুনু মিয়ার পূত্র ও জয়নাল মিয়া সিলেটের জালালাবাদ থানার নাজিরেরগাঁওয়ের আব্দুল মছব্বিরের পূত্র। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ ও ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করে পুলিশ। এদিকে, অভিযুক্ত ৩ জনের জুবায়ের আদালতে এ ঘটনার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অপর দুইজনের একদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন