ক্যারিয়ারের শুরুতে একজন সংগীতজ্ঞ হিসেবে পরিচিত পেলেও বর্তমানে জাহিদ রহমান লেখক এবং কলামিস্ট হিসেবে বেশ পরিচিত। লেখালেখি শুরু হয়েছিল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে পোস্ট করার মাধ্যমে। বর্তমানে সপরিবারে ইংল্যান্ডের নরউইচে বসবাস করলেও জাহিদ রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঢাকায়।
জাহিদ রহমান বাংলাদেশের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় কলাম লিখেন নিয়মিতভাবে। পাশাপাশি অনলাইন পোর্টালে এবং বাংলা পত্রিকাতেও লিখে থাকেন। বিশেষত আইন বিষয়ক কলামের পাশাপাশি তিনি এডুকেশন এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক কলাম লিখে বেশ সুপরিচিতি লাভ করেন। লিঙ্গ সমতার অধিকার নিয়ে তার বেশ কিছু প্রকাশনা আলোচিত হয়েছে। একাধিকবার তিনি পুরুষ অধিকার আইনের পক্ষে লেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হন। সংবাদপত্রের পাতায় হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভাঙা পরিবারের সন্তানদের অধিকার নিয়ে বেশ সোচ্চার জাহিদ রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ রহমান বলেন: বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতির ছোঁয়ায় আমাদের দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে, কিন্তু পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে শিশু অধিকার হালনাগাদ হয়নি। আমার মতে, পিতামাতার মধ্যে বিচ্ছেদ একটি শিশুকে এতিম হওয়ার চেয়েও কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।
লেখালিখির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য লিখি। আমি যে কথাগুলো মুখফুটে বলতে পারিনা, তা যখন জমে জমে আমার নিশ্বাস আটকে দেয় তখন আমি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখি। নিজেকে লেখক ভাবার চেয়ে, আমি নিজেকে অনুভূতির গল্পকথক হিসেবে ভাবি। হৃদয়ে জন্ম নেওয়া অনুভূতির ভাবনাগুলোকে কীবোর্ডে টাইপ করে সবার সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করি। অনুভূতির সেই সব ভাবনাগুলো কারও কারও মনে দাগ কেটে যায়। কেউ কেউ হয়ত সেই ভাবনাগুলোতে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পায়। মনে করে, আরে এটা তো আমারই না বলা কথা, এটা তো আমারই অব্যক্ত অনুভূতি। নিজের সাথে মিলে যাওয়া সেই সব লেখাগুলো পাঠকের মনে যায়গা করে নেয়। অবিরাম ভালোবাসায় শিক্ত হই আমি, আমার লেখাগুলো খুঁজে পায় পূর্ণতা। এখানেই আমার স্বার্থকতা আর তৃপ্তি। পাঠকদের অনুপ্রেরণাই আমার এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। জাহিদ রহমানের লেখা বই "লাইফ আইডেন্টিটি" এবং "নিস্পন্দ সায়র" খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন