শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট-ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোনালাপ

মার্কিন নীতি পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত নয় : হোয়াইট হাউস ট্রাম্পকে ফোন করায় চীনের তীব্র সমালোচনা

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গত শুক্রবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে সরাসরি টেলিফোনে কথা বলেছেন। ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন এ নীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গঠিত কমিটি জানায়, দুই দেশের প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি এটাকে ‘তাইওয়ানের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস’ উল্লেখ করে ফোনালাপকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া বার্তায় বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রাম্পের কমিটি আরো জানায়, এ বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সাইকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের জন্য খুবই অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের ঘটনায় চীন ক্ষুব্ধ হতে পারে গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প ট্ইুটার বার্তায় বলেন, ‘আমাকে অভিনন্দন জানাতে কেউ ফোন করলে কি আমি তার সঙ্গে কথা বলবো না?’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা মার্কিন নীতি পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত নয়। ট্রাম্পের মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কি তা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভালোভাবেই অবগত আছেন। ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ওয়াশিংটন বেইজিংয়ের ‘এক চীন নীতি’কে সমর্থন দিয়েছিল। চীন সবসময় বলে আসছে, তাইওয়ান তাদের ভূ-খ-ের একটি অংশ। তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের শত শত মিসাইল প্রস্তুত রাখা আছে এবং তাইওয়ান কখনো স্বাধীনতা চাইলে চীনের পক্ষ থেকে শক্তি ব্যবহারেরও হুমকি রয়েছে।
সাই ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বা সামরিক যোগাযোগের বিরোধী তারা।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপকে ‘তাইওয়ানের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, চীনের ব্যাপারে মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
ট্রাম্পকে ফোন করায় চীনের তীব্র সমালোচনার মুখে সাই
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং হি সাইয়ের ফোন করাকে ‘পাতি কর্মকা-’ বলে উল্লেখ করেছেন।
একটি শিক্ষাবিষয়ক ফোরামে রাখা বক্তব্যে ওয়াং বলেন, “এখানে কেবল তাইওয়ানের পক্ষ থেকেই পাতি কর্মকা- ঘটানো হয়েছে। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ‘এক চীন নীতি’-র কোনো পরিবর্তন হবে না। আমি বিশ্বাস করি, এর ফলে বহুদিন ধরে চলে আসা মার্কিন সরকারের ‘এক চীন নীতি’-র কোনো পরিবর্তন আসবে না।” ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে।
ওই ফোরামে ওয়াং জানান, ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তখন ট্রাম্প চীনকে ‘মহান দেশ’ বলেও প্রশংসা করেন বলে ওয়াং উল্লেখ করেন। ওয়াং আরও বলেন, ট্রাম্প ও শি জিনপিং-এর কথায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উন্নতির আভাস পাওয়া যায়। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স ও সিআরআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন