শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বিয়ানীবাজারে পুনরায় শুরু হচ্ছে একটি পরিত্যক্ত কূপ খনন : প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:২৫ পিএম

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপ খননের কাজ পুনরায় শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস উত্তোলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিস্টরা।

আজ শনিবার দুপুরে বিয়ানীবাজারে গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ওই কূপ খননের কাজ শুরহয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান সহ বাপেক্স ও সিলেট গ্যাসফিল্ডসের উর্ধতন কর্মকর্তারা। খনন কাজ শুরুর পূর্বে এক মোনাজাতের আয়োজন করেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের সূত্র মতে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের আওতাধিন বিয়ানীবাজার গ্যাসেক্ষেত্রে কূপ রয়েছে দুটি। এরমধ্যে ১ নং কুপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওইবছরের শেষদিকে বন্ধ হয়ে পড়ে উৎপাদন। এরপর থেকে এটি ছিলো পরিত্যক্ত অবস্থায়। তবে এখানে এখনও গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে অনুসন্ধানে বের করে বাপেক্সে। ফলে এই কূপ আজ থেকে শুরু হলো আবার খনন কাজ। এই গ্যাস কেন্দ্রের ২ নম্বর কুপ থেকে প্রতিদিন সাত থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে বলে জানান বাপেক্সের কর্মকর্তারা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাসখানেকের মধ্যেই এই কূপ খনননের কাজ শেষ হবে। এরপর থেকে শুরু করা যাবে উৎপাদন। এছাড়া এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া যাবে। তবে খনন কাজ শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিত করে তা বলা যাবে না গ্যাসের প্রকৃত পরিমান।

বাপেক্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিয়ানীবাজার ও পাশ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলায় একাধিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এই কুপগুলোতে মজুদ রয়েছে গ্যাসের।

প্রকৃতির অকৃপণ দানে সিলেটের মাটি গ্যাস সমৃদ্ধ। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর আবিস্কৃত হয়েছে আরও বেশ ক’টি গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮ টি আবিস্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন