বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণে সমাজে ও পরিবারের প্রবীণদের সংখ্যাও বাড়ছে। শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় কর্মক্ষেত্র ও পরিবারে অবদান রাখতে না পারায় এক ধরনের হতাশায় আচ্ছন্ন থাকেন এই প্রবীণেরা। এ সময় প্রয়োজন সবার সান্নিধ্য, ভালোবাসা ও সহযোগিতা। সম্প্রতি রাজধানীর নজরুল ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেন্টার অব সোশ্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএসইআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অভিমত পোষণ করেন। প্রবীণদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ‘গুরুজন আসর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন। অনুষ্ঠানে প্রবীণদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করা হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন মানুষের মূল্যবোধের ক্ষয় হচ্ছে, তাই পরিবারের সদস্যদের কথা না ভেবে ব্যক্তি উন্নয়নে মনোনিবেশ করছে। এটা সমাজে ভাঙন ধরার লক্ষণ। সভায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ জাবের মাহমুদ প্রবীণ বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা ও তার প্রতিকারের উপায় তুলে ধরেন। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ মমতাজ আরা। বাবা-মার প্রতি সন্তানদের কর্তব্য সম্পর্কে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। অন্যদের মধ্যে সিএসইআরএফের সভাপতি প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, নির্বাহী পরিচালক সাবিনা সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন। প্রবীণদের মর্যাদা অক্ষুণœ রাখার প্রত্যয় নিয়ে সভা শেষ হয়। স বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন