নাটোরে সোহাগ হত্যা মামলার আসামী জসিম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দীন এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন সদর থানার হয়বতপুর এলাকার চৌরি গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে। তবে তার স্থায়ী ঠিকানা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাকুঁড়ি এলাকায়। নিহত সোহাগ মিয়া হয়বতপুর এলাকার চৌরি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩১ আগষ্ট বিকেলে অজ্ঞাত কে বা কাহারা সোহাগ মিয়াকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে লোকমুখে সোহাগের স্বজনরা জানতে পারেন যে, সদর থানার লক্ষীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জনৈক দরবেশ আলীর পুকুর পাড়ে একটি আম গাছের নিচে সোহাগের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে সেহাগের মা সাজেদা বেগম ও তার চাচা আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহাগ মিয়ার পেটের নাড়িভুড়ি বের করে দেওয়া রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরৎহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সোহাগের বাবা সিরাজ মিয়া বাদি হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক আকরামুল ইসলাম তদন্ত শেষে সোহাগ মিয়ার বন্ধু জসিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ ৪ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দীন আসামী জসিম উদ্দিনকে আভিযুক্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। এ সময় জসিম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন