ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার শুরু থেকে শ্রমিকরা এক অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে। তাদেরকে মালিকরা একবার কাজে এনেছেন আবার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। এখন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মজুরি বৃদ্ধি ও রেশনিং চালু করা শুধু যৌক্তিকই নয় বরং এর সঙ্গে বাঁচা-মরার বিষয় জড়িত।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গার্মেন্টস আমদানিকারক দেশগুলো আমদানি কমিয়েছে এবং দেশের ৩০ ভাগ রপ্তানি কমেছে। পণ্যমূল্য না পাওয়ার কথা বলে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে গিয়ে ন্যায্য মজুরি না দেওয়ার পায়তারা করছেন মালিকরা। রপ্তানির অজুহাতে শ্রমিকদের মজুরি না বাড়ানো সঠিক হবে না।
মেনন বলেন, ২০১৮ সালে মজুরি বৃদ্ধির পর বলা হয়েছিল ৩ বছর পর মজুরি বাড়ানো হবে। এখন সময় এসেছে মজুরি বৃদ্ধির। তাই শ্রমিকদের পাশাপাশি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা এ সময় গুরুত্বপূর্ণ।
জিনিসপত্রের যে দাম তাতে রেশন ছাড়া ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে চলা সম্ভব নয়। ফ্যামিলি কার্ড গার্মেন্টস শ্রমিকরা পায় না। ওএমএস কার্ড শ্রমিকরা কাজের জন্য গ্রহণ করতে পারে না। রেশন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু করতে হবে। রেশনে দুর্নীতির কথা বলে শ্রমিকদেরকে অভুক্ত ও বঞ্চিত রাখা যৌক্তিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মচারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস পেলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কেন এ ছুটি পাবে না। এ ছুটি না পাওয়া গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদের জন্য বঞ্চনার। দাবি আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। নেতাদের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে হবে।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য শামসুন নাহার, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জোবায়দা পারভীনসহ শ্রমিক নেতারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন