ভারতফেরত এক বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে বেনাপোল বিজিবি আ্ইসিপি ক্যাম্পে কর্মরত সিপাহি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে আদালতে ।
মামলার বাদী ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ (৩০)।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে তদšেতর নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডিকে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রহিন বালুজ জানান, পাসপোর্ট যাত্রী মাসুদ আহমেদের মালামাল লুট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আদালতে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে তদšেতর নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডিকে ।
বাদী মাসুদ আহমেদ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে বেনাপোল দিয়ে ভারতে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরার সময় তার ফ্যামিলির জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুল প্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের ৫ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিক সংগে করে আনেন। মালামাল নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স কাজ সম্পন্ন করে ইজিবাইকে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন।
পথিমধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টের সাদিপুর মোড়ে জিএম পরিবহনের সামনে বিজিবির সিপাহি মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলে করে ইজিবাইকের গতিরোধ করেন। তিনি এ সময় বাদীকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল কোম্পানি ক্যাম্পে নিয়ে যান। বাদীকে বাইরে রেখে ক্যাম্পের ভেতরে মালামাল নেওয়া হয়। বিজিবির সিপাহি মনিরুজ্জামান বাদীকে বলেন, মালামাল গুলো নিতে হলে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
বিষয়টি বাদী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন বললে- সিপাহী মনিরুজ্জামান বাদীকে ক্রসফায়ারের হুমকী দিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর কথা বলেন। তাকে একপর্যায়ে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য করেন।
বিজিবির বেনাপোল কোম্পানির সিপাহি মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কোনো মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগও সঠিক নয়।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে: ক: সাহেদ মো. মিনহাজ বলেন, আদালতে বিজিবির সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করাটা ঠিক হয়নি। বাদি আমাদের কাছে অভিযোগ দিতে পারতেন। আমরা বিষয়টি আমলে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারতাম। বিজিবির বিরুদ্ধে মামলা দিলে আমাদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন