বরগুনার বেতাগীর সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মাহমুদ সিকদার মনিরের নেতৃত্বে বেতাগীর ঝোপখালী গ্রামের আবাসনের ঘর ভেঙ্গে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে সিডর পরবর্তী সরকারি আবাসন নির্মাণ করা হয়। আবাসনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ঐ জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলা প্রশাসন ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
সরকারী আবাসনের পুরানো টিন, জানালার গ্রীল, লোহার এঙ্গেল খুলে এবং ভেঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস আবাসন এলাাকায় সংরক্ষণ করে। বুধবার থেকে সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ সিকদার মনিরের নেতৃত্বে ঐসকল মালামাল চুরি করে পিকআপ ভ্যানে করে লক্ষীপুরা বাজারের গ্রামীণ সড়ক হয়ে বাকেরগঞ্জের বাসষ্ট্যান্ড নিকটবর্তী এনায়েত হোসেনের ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই বিষয়টি জানাজানি হলে স্হানীয়রা বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন।
ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল মৃধা ও কাউসার খন্দকার জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য মনির সিকদার লোকজনের অগোচরে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে আবাসনের মালামাল পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়ার পথে দেখতে পেয়ে আমরা পিছু নেই। পার্শবর্তী বাকেরগঞ্জের এনায়েত হোসেন নামের একটি ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রির জন্য চেষ্টা চালায়। তা দেখতে পেয়ে আমরা বিষয়টি ইউএনওকে জানাই।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ঐ স্থানে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত জাকির মিস্ত্রী নামের একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি সদস্যকে আবাসনের মালামাল ফেরত আনতে নির্দেশ দিয়েছি ও উদ্বারের চেষ্টা চালাচ্ছি। চুরির ঘটনায় ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মাহমুদুল সিকদার মনিরসহ ৫জনের বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য'র মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন