রাজবাড়ীর কালুখালীতে হড়াই রিভার উপ-প্রকল্পের সভাপতির নামে একাউন্ট না খেলার প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধুকে মারধর ও শ্লীলতানীর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন, কালুখালী উপজেলার চরমদাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বিশ^াসের মেয়ে রোজিনা (৫১)।
মামলার আসামীরা হলেন, কালুখালী উপজেলার গড়িয়ানা গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে ও মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু, তার ভাই মঞ্জু, কাটাবাড়ীয়া গ্রামের ফেলু মৃধার ছেলে বিল্লাল মৃধা, বেনি আকবরের ছেলে আজাদ শেখ।
ওই গৃহবধু মামলায় অভিযোগ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টার সময় মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ীতে যান। তিনি হড়াই রিভার উপ-প্রকল্পের একজন কার্যকরী সদস্য। প্রকল্পের নির্বাচিত তালিকায় ১৬ দলের মধ্যে থেকে ১২ দল বিশিষ্ট তালিকায় সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে ব্যাংক একাউন্টে তার নাম নেই। অন্য লোক দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করেন। এ বিষয়ে নাম সংশোধনের কথা বললে ৪জন তাকে ঘিরে ধরে। চেয়ারম্যানের হুকুমে তার ভাই মঞ্জু লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে। বিল্লাল মৃধা ও আজাদ শেখ কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এসময় চেয়ারম্যান তার পরনের বোরকা টেনে ছিড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রক্ষা করেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পর গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী ২নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, এ ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু আমার সহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যতদুর জানতে পেরেছি, তার মাথায় সমস্যা রয়েছে। আমার বিরোধী পক্ষ কেউ তাকে দিয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তে সত্যতা মিলবে আশা করছি।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোঃ সজিব বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী সহ সমিতির সদস্যদের ডাকা হয়। সেখানে সকলেই অবহিত করেন ওই নারী সমিতির কোন সদস্য নয়। তবে কি কারণে তিনি মামলা করেছেন এ বিষয়ে আমি অবগত নয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবি সাখাওয়াত হোসেন সালেহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক আগামী ১ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেছেন বিচারক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন