কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদের গাড়িবহরে হামলা ও গুলি বর্ষনের ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাক মো. সাদ্দাম হোসেনসহ এজাহারনামীয় ৯ জনের নাম উলেখø করে আরো অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানার ওসি কমলকৃষ্ণ ধর মামলার বিষয়টি দৈনিক ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার আশোরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬, তাং- ০৫/১০/২০২২ইং। মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, আনিসুর রহমান (৪০), আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৩), জহিরুল ইসলাম (৩৮), ওমর ফারুক (৩৬), জামিউর রহমান (২৬), আহাম্মেদ শুভ (২৪), মোঃ নিশান মিয়া (২৪), নুরুন্নবীসহ (২৪) অজ্ঞাতনামা আরো ৪০-৫০ জন।
বাদী তার মামলার বিবরনীতে উল্লেখ করেন, মামলায় অভিযুক্তরা গত ৩ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার ভিংলাবাড়ি সাহাপাড়া পুজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি বহরে হামলা করে এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ী (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫১৫২৪) ভাংচুর করা হয়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি ধলাহাস রোডের ফতেহাবাদ মোড়ে পৌঁছালে একই অভিযুক্তরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক দেবিদ্বার পুরাতন বাজার এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, আনিছুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে এলাপাথারী গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় সমর্থকরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিরাপদে সরিয়ে নিলেও গাড়িটি গুলিবিদ্ধ হয়। অপর দিকে প্রতিপক্ষের এ হামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ৫ সমর্থক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. সজিব মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অন্যরা হলো, ভিংলাবাড়ি এলাকার জহির মিয়া, মাহবুব হোসেন এবং বানিয়াপাড়া এলাকার হিমেল মিয়া ও শুভ।
এ ব্যপারে মামলার প্রধান আসামী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেনের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দেবিদ্বার থানার ওসি কমলকৃষ্ণ ধর বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, হামলার ঘটনায় এজহার নামীয় ৯জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। # #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন