মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের মুক্তারপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুর আড়াইটা থেকে মুক্তারপুর এলাকার আশপাশে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। পুলিশও অবস্থান নেয় আগে থেকেই। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় আসতে শুরু করে।
কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি মো. মিনহাজ উল ইসলাম, সদর থানার ওসি তরিকুজ্জামান, সদর থানার ওসি (অপারেশন) মুজাম্মেল হোসেন, দৈনিক সমকালের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি কাজী সাব্বির আহম্মেদ দিপু, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, সাংবাদিক মো. রুবেলসহ অনন্ত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির অজ্ঞাত এক কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত পুলিশ সদস্যরা মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে সদর থানার ওসি (অপারেশন) মুজাম্মেল হোসেনের অবস্থা গুরুতর।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক নেতা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করছিলাম। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতা কর্মীরা খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে আসলে পুলিশ নেতা-কর্মীদের কাছ হতে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আমাদের ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের ২০/২৫জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমাদের অনেকগুলো মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক পাবলিকের গাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন যায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মিটিং-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে যাতে হয় সেজন্য আমরা অবস্থান করি। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা হঠাৎ করে পুলিশের ওপর হামলা করে। আমার মনে হয় পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা রাস্তার পাশের ইট-পাটকেল নিয়ে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পরে টিয়ার শেল ছোড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন