।।
।।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পেরিরদহ বিলের ইজারা বদলের
খবরে বিলের বর্তমান ইজারা গ্রহনকারী মৎজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও আতংক দেখা দিয়েছে।
সমিতি কেন্দ্রিক সদস্য ছাড়াও এলাকার লোকজনের মধ্যেও দেখা দিয়েছে আতংক।
বছরের শুরুতেই পেরি পুর্বপাড়া মৎসজীবী
সমিতিকে দেওয়া তিন বছরের ইজারা বাতিলের চেষ্টার খবরে উদ্বিগ্ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের জীবীকা নিয়ে চিন্তিত হয়ে
পড়েছে।
এদিকে বিদ্যমান ইজাজারা বাতিল করে আরেকটি মৎজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি
দেলওয়ার হোসেন নামে যে ব্যক্তিকে বিলটির
ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা পাকাপাকি প্রায় বলে
জানা গেছে। তাদের লোকজন দফায় দফায় বিলটির দখল নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি অপর
পক্ষের লোকজন তা প্রতিহত করার ফলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার
প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে বলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।
সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যমান ইজারাদার পক্ষের লোকজন বিলের
পাড় ঘেঁষে অবস্থান নিয়েছে। নতুন কেউ আসলে তাকে ফলো করছে।
ইজারা গ্রহীতা সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম আকন্দ বলেন, বহুদিন ধরে তাদের সমিতি প্রায়
৪৫ বিঘার এই বিশাল ও গভীর জলাশয়টিকে
ভিত্তি করে চলছে তাদের জীবন জীবীকা।
এখন পুর্বের ধারাবাহিকতায় নতুন করে টেন্ডারে অংশ নিয়ে ডিসিআার কেটে বিলটির ইজারা নিয়েও স্বাভাবিকভাবে সংষ্কার, কচুরিপানা পরিষ্কার করে মাছের চাষ করতে পারছেননা।
তারা জেনেছেন একজন শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার ইংগিতে এই ইজারা বাতিলের প্রক্রিয়া এখন শেষ প্রান্তে।
তারা এই ইজারা বাতিলের প্রক্রিয়া স্থগিত করার
জন্য উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওনক জাহান বলেন, বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। হাইকোর্টের
নির্দেশনা, পিপি ( গভর্নমেন্ট প্লি) এবং জেলা প্রকাশকের নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এই বিষয়টি ইজারা গ্রহীতা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত
গিয়েছেন। ফলে এটি এখন সাবজুডিশ কি না
ইউএনও রওনক জাহান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কোন নির্দেশনা তিনি পাননি। পেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন