ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. রাজিয়া সুলতানাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুরের আদালতে এ মামলা করেন তিনি। মামলার আবেদনের শুনানি শেষে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলায় ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের পেশকার তহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নূর-ই আলম।
জানা যায়, ইডেন কলেজের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস মামলায় দাবি করেন,
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, অনৈতিক কর্মকাÐ পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল, মামলার সাক্ষী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে তিনি গত ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি ২২ সেপ্টেম্বর ইডেন মহিলা কলেজের হলে ফিরে আসেন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আসামি রিভা ও রাজিয়ার নির্দেশে আসামি অনিকা তাবাসসুমসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর রুমে প্রবেশ করেন। তবে, তাকে রুমে না পেয়ে তার ব্যবহারিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ নিয়ে যান। এসময় ভুক্তভোগী রুমে আসার পথে তাকে ঘিরে ফেলেন আসামিরা। তাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও মাথি মেরে বিভিন্নস্থানে জখম করেন।
মামলায় জান্নাতুল অভিযোগে আরও বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর ইডেনের আয়েশা হলের সামনে আসামি জেসমিন তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করেন। আর আসামি জেসমিন ও মীম তাঁর ওড়না নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বাস রোধ করেন। তখন জান্নাতুলকে মৃত ভেবে ফেলে যান আসামিরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি লালবাগ থানায় মামলা করতে যান। তবে থানা মামলা নেয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন