বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

২০৬০ সালে বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা হবে ৩০০ কোটি

সর্বোচ্চ মুসলিম জনসংখ্যা হবে ভারত উপমহাদেশে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইসলাম হল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম। আগামী ২০৬০ সালের মধ্যে মুসলমানদের জনসংখ্যা বর্তমানের থেকে বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার (পিআরসি)-এর একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘দ্য ফিউচার অফ ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নস : পপুলেশন গ্রোথ প্রোজেকশন, ২০১০-২০৫০’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন অনুসারে, মুসলিম জনসংখ্যা ২০১৫ সালের ১.৮০০ কোটি থেকে ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০৬০ সালে প্রায় ৩০০ কোটি হতে যাচ্ছে। আর সে সময় বিশ্বের যে কোনো দেশের থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা থাকবে। ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

পিআরসি বলেছে, ভারতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থালেও, ২০৬০ সালের মধ্যে ৩৩ কোটি মুসলমান সহ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার অধিকারী হবে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, একই সময়ে বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার ৯.৫ শতাংশ থাকবে পাকিস্তানে এবং ৬.১ শতাংশ থাকবে বাংলাদেশে। ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা তার মোট জনসংখ্যার ১৯.৪ শতাংশ হবে, যা বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার ১১.১ শতাংশ। সবমিলিয়ে ২০৬০ সালের মধ্যে ভারত উপমহাদেশ মোট ২৬.৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করবে।

সম্ভবত ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মুসলিমদের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টানদের সংখ্যার প্রায় সমান হবে। পিউ রিসার্চের অনুমান অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে মুসলিমরা হবে (২.৮ শ’ কোটি, বা জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ) এবং খ্রিস্টানরা হবে (২.৯ শ’ কোটি বা ৩১ শতাংশ)। ইউরোপে, মুসলিমরা সামগ্রিক জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে, খ্রিস্টানরা ২০১০ সালের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি থেকে নেমে ২০৫০ সালে দুই-তৃতীয়াংশে হবে। এবং দেশটিতে ধর্মের ভিত্তিতে ইহুদিদের তুলনায় মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হবে। সূত্র : পিউ রিসার্চ সেন্টার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Md Ali Azgor ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:২৯ এএম says : 0
প্রকৃত ইসলাম না জেনে হাজার কোটি হলেও সংখ্যা দিয়ে জাতির কোনো উপকারে আসবে না। ইসলাম এবং বিজ্ঞান সমন্বয় করে শিক্ষিত না হলে সংখ্যাটা শুধুই সংখ্যা। ইজরায়েলের চারপাশে সব মুসলিম দেশ অথচ ইজরায়েলের প্রযুক্তির কাছে সব আরব দেশ অসহায়!!
Total Reply(0)
Aminul Islam ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৩১ এএম says : 0
ইসলামের বিজয় কে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
Total Reply(0)
Aminul Islam ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৩১ এএম says : 0
ইসলামের বিজয় কে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
Total Reply(0)
hassan ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:২০ পিএম says : 0
আমরা যদি সত্যি কারের মুসলিম হতাম তাহলে আজকে আমরা সারা বিশ্ব কোরআন দিয়ে শাসন করতাম তাহলে সারা বিশ্বের মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারত গ্লোবাল ওয়ার্মিং হতোনা যুদ্ধ-বিগ্রহ হতো না কোন মানুষ গরীব থাকত না কেননা আল্লাহ এত সম্পদ মানবদেরকে দিয়েছে সেটা যদি ভাগাভাগি করে নেওয়া হয় তাহলে প্রতিটা মানুষ বড়লোক হয়ে যাবে কোন লোক গরিব থাকবে না আসলেই কি আমরা মুসলিম????তাহলে মুসলিম অধ্যুষিত দেশে একটা দেশে কোরআনের আইন দিয়ে দেশ শাসন করা হয় না যারা কোরআনের আইনের কথা বলে ঐসব দেশের সরকার যেমন বাংলাদেশের সরকার মানুষদেরকে জঙ্গিতত্ত্ব দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে না হলে তাদেরকে গুম করে ফেলা হয় না হলে মিথ্যা কেস দিয়ে সারা জীবনের জন্য জেলের মুগ্ধ করে রাখা হয় মধ্য আর সারা বিশ্বের কাফেররা একযোগে মুসলিমদেরকে হত্যা করছে মুসলিমদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে দেশ থেকে বার করে দিচ্ছে যেমন মায়ানমার প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন
Total Reply(0)
Sadi Muhammad Toki Ullah ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৪৭ এএম says : 0
ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন যাতে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, সেইজন্য এসব গভেষনার নামে ভারতকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।
Total Reply(0)
Fourkan Hamid ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৪৭ এএম says : 0
বলে তো যুদ্ধ, মহামারি, দূর্ভিক্ষে ৮০০ কোটি থেকে জনসংখ্যা হবে ২ থেকে ৩০০ কোটি। আর আমরা জানি ঈসা ইবনে মারিয়াম আলাইহিসসালাম এর নেতৃত্বে সারা বিশ্বে ইসলাম ছাড়া ২য় কোন কিছুই থাকবে না। কাজেই তখনকার ২/৩ শ কোটি সবাই মুসলিম হবে।
Total Reply(0)
Fahim Ahsan Khan ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:২৮ এএম says : 0
মুসলমান একহাজার কোটি হলেও লাভ নেই,আর ঈমানদার একহাজার হলেই তার সমান
Total Reply(0)
Mohmmed Dolilur ১১ অক্টোবর, ২০২২, ২:৪৮ এএম says : 0
অবশ্যই মানব জাতি আল্লা ও রাসুল (সাঃ)এর প্রতি শেষ কেতাব ও প্রথম কেতাব আল কোরআন এর প্রতি বিশ্বাস আনতেই থাকবে,এবং আমার আশা হিন্দু বৌদদ খ্রিষ্টান সবাই মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করবেন,কারণ এটি মানবজাতির জন্য শেষ নির্দেশনা,আর যদি এরা মুসলিম ধর্ম থেকে দুরে থাকতে চায়,সেটি তাদের বেপার,ইনসআললাহ ইসলাম পৃথিবীতে জীবিত থাকবে,এবং যারা এখনও অন্ধকারে আছে তারা আলোর পথে আসবেন,অন্যথায় জাহান্নমে খালেদিন এ জাবেন,সত্য মিথ্যা ইহুদি খ্রিষ্টান বৌদদ হিন্দু তাহারা তাদের যে বর্তমান গ্রন্থ আছে সেটি ভালো করে যাচাই বাচাই করলেই বুজতে পারবেন,অযথা ঝগড়া ঝাঁটি করে লাভ নেই,
Total Reply(1)
MOSTAFIZUR ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১০:২২ এএম says : 0
RIGHT

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন