স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে কৃষি গবেষণার মাধ্যমে সফল মডেল উদ্ভাবন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ রহিমকে ২০১৫ সালের খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদক প্রদান করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। গতকাল রাজধানীর আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদক প্রদান করা হয়। পদকের মূল্যমান দুই ভরি স্বর্ণের পদক ও নগদ এক লাখ টাকা। প্রফেসর রহিম ফলদ ও বনজ বৃক্ষ গবেষণা, বৃক্ষ সংরক্ষণ ও উদ্ভাবন বিষয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর কর্মরত আছেন। ১৯৯১ সালে তার প্রতিষ্ঠিত ফলদ বৃক্ষের জার্মপ্লাজম সেন্টারটি বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফলদ বৃক্ষের জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তিনি সর্বমোট ৯০টি বিভিন্ন প্রজাতির ফল/সব্জি/মসলার জাত ও জাতীয় বীজ বোর্ডের মাধ্যমে অবমুক্ত করেছেন। এগুলোর মধ্যে বাউকুল-১ উদ্ভাবন বাংলাদেশে রীতিমতো কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। প্রফেসর রহিমকে তাই অনেকেই ‘ফলের জাদুকর’ বলে সম্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও সম্মাননাপত্র পাঠ করেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি প্রফেসর ড. এম শমশের আলী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ-এর কৃষিতত্ত¡ বিভাগের প্রফেসর ড. মো: সুলতান উদ্দিন ভ‚ঞা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমান।
উল্লেখ্য, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন উপমহাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, সুফি সাধক, তৎকালীন জনশিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র নামে ১৯৮৬ সাল থেকে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। জাতীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পর্যন্ত ২৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এই স্বর্ণপদক দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন