রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নীলফামারীর ২০৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দিনের বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা ঃ প্রশ্নপত্র তৈরী না হওয়ায় নীলফামারী সদর উপজেলা ২০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সারাদেশের ন্যায় শনিবার থেকে পূর্ব নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হলেও শুধু মাত্র নীলফামারী সদর উপজেলায় এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। এ নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করা প্রথম শ্রেণী হতে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা হবে না জেনে ফিরে গেছে।
জানা যায়, জেলার অপর উপজেলা ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুরে যথা নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলার ২০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্র তৈরী না হওয়ায় শনিবারের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। সূত্র মতে, আজকের পরীক্ষা সবশেষে নেয়া হবে। সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন জানান, তারা শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রশ্নপত্র আনতে গেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকালেও প্রশ্ন দিতে না পারায় শনিবারের পরীক্ষাটি সবার শেষে গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষকদের জানান। জানা যায়, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কোন পরীক্ষা কখন হবে সেটি আগে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার্ষিক পরীক্ষাও সরকারী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হওয়ার কথা কিন্তু প্রশ্নপত্র তৈরী না হওয়ায় প্রথম পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এক মাস আগে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং যথাসময়ে পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার কথা। সে হিসাবে শনিবার থেকে গোটা জেলায় প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব অবহেলার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রথম পরীক্ষা যথাসময় দিতে পারল না। এ ব্যাপারে নীলফামারী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার শরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার শিক্ষা বিষয়ে এক কর্মশালায় ব্যস্ত থাকায় প্রশ্নপত্রের বিষয়টি সমাধান করতে পারিনি। এ ছাড়া ছাপাখানা প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতে পারেনি। যার কারণে শনিবারের পরীক্ষা সব শেষে গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলিপ কুমার বণিক জানান কি কারণে যথাসময়ে প্রশ্নপত্র তৈরী হলো না সেটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন