বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নীলফামারীতে তরুণীকে গণধর্ষণ : পলাতক দুই লম্পট

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নীলফামারী সংবাদদাতা : গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা দিঘিরপাড় গ্রামের একটি লিচু বাগানে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ওই তরুণীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তরুণীটিকে গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত চাঁদখানা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলাম ওরফে কালা (৩৫) ও একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
গণধর্ষণের স্বীকার তরুণী জানায়, সে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বলদীপাড়া গ্রামের তাদের বাড়ি। সে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শিশু পল্লীতে থাকাকালীন তার সঙ্গে পরিচয় হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা দিঘিরপাড় গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬৫) ও তার দুই মেয়ে লাভলী ও মিনার সঙ্গে। সেই সুবাদে সে গত তিন মাস আগে এখানে একবার বেড়াতে এসে সপ্তাহখানেক থেকে ফিরে যায়। চলে যাওয়ার সময় ভুল করে কিছু জামা কাপড় এখানে রেখে যায়। ওই জামা-কাপড় নিতে সে মঙ্গলবার সকালে তাদের বাড়িতে একাই আসে। তার রেখে যাওয়া জামা কাপড় নিয়ে ওই দিন বিকালে রংপুরে তার আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাচ্ছিল। পথে তাকে দুইজন আটকিয়ে এলাকার একটি লিচু বাগানে জোড়পূর্বক নিয়ে মুখ হাত পা বেঁধে আটকিয়ে রাখে এবং রাতে উভয়ে তাকে একাধিকার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর কালা চৌকিদার পালিয়ে যায়। অপরজন রশিদুল ইসলাম তাকে বাড়িতে নিয়ে রাতে রাখে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় রশিদুল তাকে একটি ভ্যানে কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
রশিদুল ইসলামের বাবা নুরুল আমিন জানান, একটি মেয়ে বিপদে পড়েছে বলে তাকে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসে ছেলে রশিদুল ইসলাম। কিন্তু মেয়েটির শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সকালে রশিদুল মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসেনি।
চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান জানান, সকাল থেকে তার ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলাম কালা ইউনিয়ন পরিষদে এসে হাজিরা দেয়নি। এমনকি তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ গাওছুল আযম জানান মেয়েটির চিকিৎসা করতে গিয়ে গণধর্ষণের আলামত পাওয়া যাওয়ায় তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্সসহ হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির কথা শুনে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, চাঁদখানা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলাম কালা ও একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম মেয়েটিকে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার পর ওই দুইজন পালিয়ে গেছে। মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আসামী দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন