নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : দেশ, জাতি ও সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মার হেদায়েত ও শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শনিবার নীলফামারীতে শেষ হয়েছে তিন দিনের তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা।
জেলা সদরের দাড়োয়ানি টেক্সটাইল মিলস কলোনি মাঠে গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ওই ইজতেমায় শনিবার বেলা পৌনে এগারোটা থেকে সোয়া এগারোটা পর্যন্ত আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের সূরা মাওলানা মোশাররফ হোসেন। নীলফামারী জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা ও দেশের বাইরে থেকে আসা প্রায় পাঁচ লাখ ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ মুসল্লি অংশ নেন ইজতেমায়।
আয়োজকরা জানায়, তিন দিনের ওই ইজতেমায় দেশি-বিদেশি অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ও ঢাকার কাকরাই মসজিদের মুরুব্বিগণ ইসলামের দিনের দাওয়াত, ধর্ম ও আখিরাত নিয়ে মূল্যবান বয়ান করেন।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির পক্ষে সদস্য মো. তামজিদুল আলম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিনদিনের জেলা ইজতেমা শেষ হয়েছে। দেশ জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার হেদায়েত ও শান্তি কামনা করে সেখানে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক মকবুলের মৃত্যু
আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়া হলো না কৃষক মকবুল হোসেনের (৬৫)। শনিবার সকালে মোনাজাতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। সে নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের কিসামত দোগাছী গ্রামের মৃত ভাদু মামুদের ছেলে।
আমিন ধ্বনিতে মুখরিত ফেনীর ইজতেমা
ফেনী জেলা ও ছাগলনাইয়া সংবাদদাতা : আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হলো ফেনীর দেবীপুর ইজতেমা মাঠ। মুসলিম উম্মাহ, বিশ্ব ও দেশবাসীর সুখ, শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী ফেনী জেলা ইজতেমা। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা মো. যোবায়ের। বেলা ১১.৪৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয় শেষ হয় ১১.৫৮ মিনিটে। প্রথমবারের মতো জেলাভিত্তিক এ ইজতেমার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ইজতেমায় বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ শরিক হয়েছিলেন।
মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আসায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি আখেরি মুনাজাতে শরিক হয়ে আমিন আমিন প্রতিধ্বনিতে মুখরিত করে তুলেন গোটা এলাকা। আরাকানে নির্যাতিত মুসলমানসহ সারা পৃথিবীর নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়। এই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি। এদিকে মুনাজাত শুরুর আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় । মুনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা রাস্তায়, বাসে, ট্রাকে, পার্শ্ববর্তী বিল্ডিংয়ের ছাদে অবস্থান নিয়ে মুনাজাতে অংশ নেন। মুনাজাতে অংশ নেয় শিশু, বৃদ্ধাসহ নারীরাও। শেষ বয়ানে বক্তারা বলেন, আল্লাহর দ্বীনকে দুনিয়াতে জিন্দা করতে দাওয়াতের কাজে জানমাল কুরবানি দিতে হবে। দাওয়াতের কাজ হচ্ছে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা। দাওয়াতের কাজ ছেড়ে দিলে আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করবে না। মুলসমানরা বিভিন্ন যুুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিল সংখ্যার কারণে নয়, আল্লাহর সাহায্যের কারণে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানরা আজ জিল্লতির মধ্যে আছে। মুসলমানরা যে পথে হাঁটছেন সে পথ সমস্যা সমাধানের পথ নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন