নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারী জেলার ঐতিহ্যবাহী ঢেলাপীর হাটের জায়গায় বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনকে বরাদ্দ দেয়ায় সংকচিত হয়ে পড়েছে হাটটি। এদিকে হাটের জায়গা অন্য প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেয়ায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জেলার ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
জানা গেছে, ১৯৮২ সালে স্থানীয় লোকজনের দানকৃত ৯০ শতক জমি নিয়ে হাটটি শুরু হয়। সেই থেকে সপ্তাহে দুইদিন বসে এ হাট। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা ও লোকজনের সমাগম বাড়তে থাকে হাটটিতে। ফলে আশপাশের ফাঁকা খাস জমিতে বসতে থাকে হাট। দানকৃত ৯০ শতকসহ বর্তমানে হাটে ব্যবহারকৃত জমির পরিমাণ মোট ১২ একর ১৪ শতক। এ হাটে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার খানসামা, পাকের হাট, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতারা আসে এই হাটে। গরু, ছাগল, ভেড়া, সাইকেল, রিকশা, ধান, পাট, গম, ভুট্টাসহ মানুষজনের জীবন-যাপনের সব ধরনের পণ্য বিকিকিনি হয় এ হাটে। এ হাট থেকে প্রতি বছর সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব আয় হয়। ১৪২৩ বাংলা সনে একচল্লিশ লক্ষ বাইশ হাজার নয়শত বিশ টাকায় এ হাট ইজারা দেয়া হয়।
হাটের বর্তমান ইজারাদার হেলাল চৌধুরী জানান, এই হাটটি জেলার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী হাট। এখান থেকে সরকারের প্রচুর রাজস্ব আয় হলেও হঠাৎ করে স¤প্রতি নীলফামারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাট চলাকালীন দানকৃত ৯০ শতক জায়গা বাদ দিয়ে বাকী জায়গায় লাল কাপড় মাটিতে গেড়ে দিয়ে বলেন এই জমি বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। ইজারাদার জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে হাটের ব্যবহারকৃত জমিসহ আশপাশের মোট ১০৬ একর খাস জমি বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনকে বরাদ্দ দেয়া হয়। যার দলিল নং-২৬৮১/১৬ তারিখ ২৯.০৩.১৬। এদিকে হাটের জমি হাটকে না দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেয়ায় এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান জানান, হাটের জমি অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হলে ঐতিহ্যবাহী হাটটি সংকচিত হয়ে পড়বে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে এ এলাকার ব্যবসায়ীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন