বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার সমর্থিত বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। খুলনা থেকে ১৮ টি রুটে রাত থেকে বাস চলাচল রয়েছে। অন্যদিকে, বৃহষ্পতিবার রাত ১১ টার পর থেকে নৌ পথে লঞ্চ ট্রলার নৌকা চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে নগরীর সোনাডাংগা বিভাগীয় বাস টার্মিনালে দেখা গেছে একটি পরিবহনও খুলনা ছেড়ে যায়নি। রাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা বাস খুলনার প্রবেশ মুখ ফুলতলা উপজেলা ও রূপসা ব্রীজের অপর পাড়ে যাত্রী নামিয়েছে, শহরে প্রবেশ করেনি।
বাস টার্মিনালে যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। অনেক যাত্রী গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যান। যাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরাও ক্ষুব্ধ। মালিক পক্ষের এ সিদ্ধান্তকে তারা হঠকারী বলছেন। খুলনা-ঢাকা রুটের পরিবহন সুপারভাইজার আশিক ও হেল্পার জাকির বলেন, দু দিন বাস চলবে না। বাস না চললে আমরা খাব কী? ধর্মঘট ডাকা হয়েছে রাজনৈতিক কারনে। সবাই শুধু শ্রমিকদের ব্যাবহার করে ফায়দা লুটে।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব জানান, সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন নসিমন করিমন ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবিতে আমরা ২১ ও ২২ অক্টোবর ধর্মঘট আহবান করি। এর পিছনে কোন রাজনৈতিক কারন নেই। সাধারণ যাত্রীরা দূর্ভোগে পড়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
প্রসংগত, ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর দু দিন আগে হঠাৎ বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন