ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ অর্থাৎ বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। বন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জেটি সংলগ্ন বন্দরের ইয়ার্ড থেকে সীমিত আকারে কিছু পণ্য খালাস হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত শুরুর আগেই সব পরিবহনকে জেটি ও ইয়ার্ড ছাড়তে বলা হয়েছে। জেটিতে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকেও গভীর সমুদ্রে চলে যাবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে বহিঃনোঙ্গরে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক জাহাজ গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ায় বন্দর সীমানা এখন জাহাজশূন্য। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। তবে এটি আরও ঘণীভূত হয়ে অগ্রসর হতে থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ৬ নম্বর সংকেত জারির পর বন্দরেও আমরা অ্যালার্ট-থ্রি জারি করেছি। সাধারণত সংকেত ছয় কিংবা এর ওপরে গেলে আমরা বন্দরে বিপদ সংকেত জারি করি। জেটিতে ১৮টা জাহাজ ছিল। সবগুলোকে সাগরে পাঠিয়ে জেটি জাহাজশূন্য করা হয়েছে। জেটিতে লোডিং-আনলোডিং বন্ধ আছে। কিছু ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানে পণ্য তুলে বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি, আঘাতের আভাস পাবার সঙ্গে সঙ্গে জেটি এলাকা খালি করে দিতে হবে। বহিঃনোঙ্গরে ৭০ টার মতো মাদার ভ্যাসেল ছিল। সেগুলোকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। বন্দর সীমানায় এখন আর কোনো জাহাজ নেই। জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ আছে। কর্ণফুলী নদীতে লাইটারেজ জাহাজ চলাচল ও ঘাটে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ আছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো নদীতে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন