রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

আমরা ফিল্মে সুযোগ না দিলে শাকিব বড়জোর তিন-চার হাজার টাকার অফিস সহকারীর চাকরি পেত -বদিউল আলম খোকন

| প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ডিলান হাসান : যে শাকিব আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আলো-বাতাসে এবং এখানের মানুষগুলোর সহায়তায় তারকা হয়ে উঠেছে, সে শাকিবের কাছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এখন অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে এখন সে ধারণ করে না। কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তার কাছে আপন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও এ অঙ্গনের টেকনিশিয়ানদের বদনাম করে বেড়াচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে? অত্যন্ত বেদনাহত হয়ে কথাগুলো বললেন, শাকিবকে নিয়ে ২২টি সিনেমা নির্মাণ করা বদিউল আলম খোকন। মূলত এই খোকনের সিনেমার মাধ্যমেই আজকের তারকা শাকিবের উত্থান। ২০০৭ সালে তার প্রিয়া আমার প্রিয়া সিনেমার মাধ্যমে শাকিব প্রথমবারের মতো তারকা খ্যাতি লাভ করেন। স্বাভাবিকভাবেই শাকিব যখন বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেতিবাচক কথা ও এর মানুষগুলোর বদনাম করেন তখন বদিউল আলম খোকনের দুঃখ হবে। কষ্ট লাগবে। এই কষ্টের কথা বলতে গিয়ে খোকন দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, আমি যদি প্রিয়া আমার প্রিয়া সিনেমায় শাকিবকে না নিতাম, এ শাকিব কোনো দিনই শাকিব হয়ে উঠতে পারত না। তাকে কেউই চিনত না। অশ্লীল সিনেমার দ্বিতীয় শ্রেণীর নায়ক ছিল সে। বলা যায়, তাকে আমি নদর্মা থেকে তুলে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এসেছি। প্রিয়া আমার প্রিয়া সিনেমায় তাকে আড়াই লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছি। তার পরের সিনেমায়ই তাকে পঁচিশ লাখ দিয়েছি। তাকে ভিখারি থেকে রাজা বানিয়েছি। তিনি বলেন, শাকিবকে যদি ফিল্মে সুযোগ না দেয়া হতো, সে যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে সেখানেই পড়ে থাকত। বড়জোর তিন-চার হাজার টাকা বেতনের অফিস সহকারীর চাকরি পেত। আমাদের ফিল্মইতো তাকে আজ গুলশানের মতো জায়গায় বাড়ি দিয়েছে, বিএমডব্লিউ গাড়ি দিয়েছে, কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। এখন যে কলকাতায় গিয়ে সিনেমা করছে, তা আমাদের ফিল্মের মানুষগুলোর জন্যই। অথচ সে আমাদের ফিল্মের বদনাম করছে, আমাদের টেকনিশিয়ানরা কাজ জানে না বলে মন্তব্য করছে। এমনকি যৌথ প্রযোজনার নামে যেসব সিনেমায় সে অভিনয় করছে, তাতে আমাদের টেকনিশিয়ানদের না নেয়ার কথা বলছে। এর মাধ্যমে সে আমাদের দেশের ফিল্মের বিরোধিতা করছে। অন্যভাবে বললে, দেশের বিরোধিতা করছে। এখন সে ভারতপ্রেমী হয়ে উঠেছে। ভারতের সবকিছুই তার কাছে ভাল। বাংলাদেশ যে তাকে শাকিব বানিয়েছে, এটা ভুলে যেতে চাইছে। যে নিজের জন্মকে অস্বীকার করে, তাকে দিয়ে আর যাই হোক, দেশের কোনো উপকার আসা করা যায় না। এখন সে কলকাতার সাথে মিলে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ায় নেমেছে। আমরা বেঁচে থাকতে তা কিছুতেই হতে দেব না। আমাদের এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই একজন নায়করাজ তৈরি করেছে। সোহেল রানা, ফারুক, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, আলমগীর, ববিতা, শাবানা, মান্না, সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা, পপিদের জন্ম দিয়েছে। শাকিব তার আচরণ দিয়ে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অস্বীকার করতে চাইছে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি মনে করি, শাকিবের এই আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। শুধু এটুকু বলব, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুনমা করতে না পারো, অন্তত বদনাম করো না। নিজের অস্তিত্বের সাথে বেঈমানী করো না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
নাজমুল হাসান ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:৪৩ এএম says : 1
কথাগুলোর যুক্তি আছে।
Total Reply(0)
hasan ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:০৪ এএম says : 1
আপনার মত পুরদস্তুর নকলবাজের মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না ।আমার দেখা আপনার প্রতি টি ছবি তামিল বা কলকাতার মুভির নকল। নকলের জ্বালায় বাংলা মুভি দেখা বাদ দিয়েছি।
Total Reply(0)
Touhidul Islam Shawon ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৭ এএম says : 0
shakib khan k star banano apnader vul hoyece,akhon tar mashul din.
Total Reply(0)
Shamiul Masud ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৭ এএম says : 1
U r right bro
Total Reply(0)
Joynal Hussain ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৮ এএম says : 0
রাইট কথা, মানুষ কোন কিছু হলেই অতীত ভুলে যায়,,
Total Reply(0)
Tuhin Mahmud ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৯ এএম says : 1
সুযোগ অনেককেই দিয়েছেন কিন্তু সাকিবের মত কেউ এখন নাই। এর কারনটা কি?
Total Reply(0)
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:০৪ পিএম says : 0
আমি মনে করি যা কিছু করুক না কেন, নিজের দেশকে ছোট করতে নাই.
Total Reply(0)
নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:২২ পিএম says : 1
সব তো ঠিকই বললেন। কিন্তু আপনি কেন অশ্লীল জগতের শাকিব খানকে নিজের সিনেমায় নিলেন? আপনিও তো কম অপরাধী না, ভারতীয় তামিল সিনেমার যখন কপি করেন তখন দেশপ্রেম কোথায় যায় মশায়? শাকিব এবং আপনারা টাকার পিছনে ছুটে দেশের নিজস্ব সিনেমা না বানিয়ে কপি-পেস্ট সিনেমা বানিয়ে এই শিল্পকে ধংস্ব করছেন।
Total Reply(0)
মোঃ হুমায়ূন কবির ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:০০ পিএম says : 0
আফসোস হয় যখন এ ধরণের একজন মানুষের কাছে এমন নেতিবাচক কথা শুনি। ১৯৯৯ সালে অনন্ত ভালবাসা ছবিতে শাকিব কাজ করার পর সোহানুর রহমান সোহান বলেছিলেন চলচ্চিত্রে কি দিলাম তা একসময় বুঝবে বাঙালি। তখন বুঝি সোহান জানতেন না যে আপনি খোকন শাকিবকে সুযোগ না দিলে ও .......। সাধারণ দর্শক নিত্য নতুন খোঁজে বিধায় তারা যা তা বলতে পারে। কিন্তু আপনাদের মুখে এ কথা মানায় না। ১৯৯৯-২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়টা যে চলচ্চিত্রের জন্য মোটেও উর্বর ছিল না তা তো আপনি অস্বীকার করবেন না। হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেকটাই দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন শাকিব। আপনার তো ফুল নেবো না অশ্রু নেবো, গোলাম, কোটি টাকার কাবিন, পিতার অহংকার, সন্তান আমার অহংকার এর মত ছবিগুলোও অস্বীকার করবেন তাই না?একটা বিষয় স্পষ্ট আর তা হলো আপনারাও তো তাকেই খোঁজেন যার প্রতিভা আছে, হোক তা সুপ্ত। অভিনেতা ডিপজলও আক্ষেপ করে বলেছিলেন,আমি আর একটা শাকিব তৈরি করে নিব। হয়তো তিনি ভুলে গেছেন। আসলে উনিও কিন্তু আর একজন শাকিব-ই তৈরি করতে চেয়েছেন। তার মানে কি দাঁড়ায়? শাকিব-ই তো! অন্যরা ভাল করুক এটাও প্রত্যাশা। তবে বলি অন্যদের নিয়ে যে চেষ্টা হয় না তা কিন্তু না। হয়তো একদিন শাকিব বলয় থেকে বের হয়ে আসবেন, তবে তার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আর যদি তা করি তা হলে তা হবে অকৃতজ্ঞতা। আমরা শাকিব কে অনুপ্রাণিত করি,আর নতুন সকলকে উৎসাহিত করি সে দিন খুব একটা দূরে নয় যে দিন এই বাংলার চলচ্চিত্র নামক আকাশ কেবল শাকিব-ই নয়,আরো হাজারো তারকা খাচিত থাকবে.............................. ধন্যবাদ সকল চলচ্চিত্র বোদ্ধাকে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন