জালাল উদ্দিন ওমর : ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তি। আজকের এই বিজয় দিবসের প্রাক্কালে প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সেইসব বীর শহীদদেরকে, যারা এ দেশের স্বাধীনতার জন্য হাসিমুখে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। একইভাবে গভীর শ্রদ্ধার সাথে সম্মান জানাচ্ছি সেই সব বীর জনতাকে, যারা হাসি মুখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং যুদ্ধ করতে গিয়ে পঙ্গু হয়েছেন। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে। এই দিন পৃথিবীর বুকে নতুন একটি মানচিত্রের জন্ম হয়। লাল সবুজের পতাকায় আমরা নতুন পরিচিতি লাভ করি। একই সাথে নতুন একটি দেশের জন্ম হয়, তার নাম বাংলাদেশ। শুরু হয় নতুন একটি দেশের পথচলা, একই সাথে শুরু হয় নতুন দিনের পথে হাঁটা। এদেশের মানুষেরা নতুন আশায় বুক বাঁধে, নতুন করে স্বপ্ন দেখে। সুন্দর আগামীর পথে শুরু করে নতুন এক অভিযাত্রা। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বরে এসে সেই অভিযাত্রার ৪৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। প্রতিটি বছর যখন ১৬ ডিসেম্বর আসে তখন সেই অভিযাত্রার আরো একটি বছর পূর্ণ হয়। সময়ের পরিক্রমায় সেই অভিযাত্রার ৪৫টি বছর পূর্ণ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করব, সেই অভিযাত্রা অনন্তকালের জন্য অব্যাহত থাকবে এবং সময়ের সাথে সাথে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং শান্তির দেশে পরিণত হবে। একই সাথে অনন্তকাল ধরে স্থায়ী হবে এই দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব।
দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা, উন্নয়ন, শান্তি, সামাজিক নিরাপত্তা, সুশাসন, মানবিক মূল্যবোধ এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ননের সূচকে স্বাধীনতার ৪৫টি বছরে আমাদের অর্জনকে আজ মূল্যায়নের সময় এসেছে। কারণ ৪৫টি বছর কিন্তু কম সময় নয়। আর এই ৪৫টি বছরে আমাদের অর্জনকে যদি আজ নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করি তাহলে দেখা যাবে আমাদের অর্জন খুব বেশি প্রত্যাশিত নয়। অর্থাৎ প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে পারিনি। আমাদের আরো এগিয়ে যাবার দরকার ছিল এবং আমরা সেটা পারতাম। জাতি হিসেবে স্বাধীনতার ৪৫টি বছর পূর্ণ হলেও আমরা এখনো পৃথিবীর সবচেয়ে কম উন্নত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত। আমরা ২০১৫ সালেই কেবল নি¤œ আয়ের দেশ হতে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। যে সব দেশের মাথা পিছু আয় ১০৪৫ ডলার বা তার নীচে তাদেরকে নি¤œ আয়ের দেশ বলা হয়। যে সব দেশের মাথা পিছু আয় ১০৪৬ ডলার থেকে ১২৭৩৬ ডলার তাদেরকে মধ্যম আয়ের দেশ বলা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১৩১৪ ডলার। সেই হিসাবে আমরা বর্তমানে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশ। সুতরাং আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কোন পর্যায়ে তা সহজেই অনুমেয়। এখনো এদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। দেশের সকল মানুষ এখনো শিক্ষিত হয়নি। সকল মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা পায়নি, পায়নি চিকিৎসা সেবা এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা। দুর্নীতিতে আমাদের অবস্থান বরাবরই উপরের দিকে। সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি স্থায়ী আসন গেড়েছে। দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হচ্ছে হাজার কোটি টাকা।
২০১২ সালে এদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ৭২২ কোটি ডলার। ২০১৩ সালে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ৯৬৬ কোটি ডলার। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ৫৫৮৭ কোটি ডলার। ব্যাংকগুলোতে এখন খেলাপী ঋণের পাহাড়। ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে সেই ঋণের টাকা ফেরত না দেয়া একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকগুলোর খেলাপী ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটিরও বেশি, যা আমাদের অর্থনীতি এবং ব্যাংকিং সেক্টরকে বিপদগ্রস্ত করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো ভালো করতে হবে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষ খুন হচ্ছে, না হয় গুম হচ্ছে। নারী নির্যাতন এবং ইভটিজিং বেড়েই চলেছে। ভোটাধিকার নিয়ে এখনো মানুষ উদ্বিগ্ন। জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট এবং জাতি আজ বিভক্ত। ঐক্যের পরিবর্তে সর্বত্রই আজ অনৈক্যের সুর। অথচ বিশে^র অন্যান্য দেশসমূহ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আজ সর্বদা উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং শান্তির পথে অগ্রসরমান। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে যেসব দেশের অবস্থান ছিল আমাদেরই কাতারে, সময়কে যথাযথ এবং পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে তারা আজ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। দারিদ্র্যতা, অশিক্ষা আর হতাশাকে জয় করে তারা আজ উন্নত, শিক্ষিত এবং ধনী রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে। মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে তারা সর্বদা অগ্রসরমান। সুতরাং এসব দেশের মতো আমাদেরকেও আজ এগিয়ে যেতে হবে।
দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাসমূহ নিয়ে ভারত এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাসমূহ নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়। মুসলিম প্রধান এলাকা হবার কারণে সাত সমুদ্র তের নদী দূরের এলাকা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের এই বাংলাদেশ পাকিস্তানের অর্ন্তভুক্ত হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হবার পর থেকেই পাকিস্তানের শাসকেরা বাংলাদেশকে অবহেলা এবং শোষণ শুরু করে। যার কারণে স্বাধীনতার শুরু থেকেই পাকিস্তানের দুই অংশ পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তানের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষার আন্দোলন তার প্রথম বহিঃপ্রকাশ। সময়ের সাথে সাথে তা আরো বৃদ্ধি পায়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এদেশের মানুষ এর প্রতিবাদ করলে পাকিস্তান সরকার তাদের ওপর হত্যাকা- চালায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানীরা ঢাকায় অনেক মানুষকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণা করে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। শুরু হয় স্বাধীনতার সংগ্রাম। এদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই স্বানীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয় এবং ত্রিশ লক্ষ মানুষ এ যুদ্ধে শহীদ হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত সর্বাত্মকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে। এজন্য আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ফারাক্কার ওপর বাঁধ দিয়ে, তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে ভারত আমাদেরকে বছরের পর বছর ধরে পানি বঞ্চিত করছে। এখন আবার টিপাইমুখে বাঁধ দিচ্ছে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত করিডোর নিচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাচ্ছে। ভারতের সবকটি টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে উন্মুক্ত কিন্তু বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলও ভারতে দেখা যায় না। বিএসএফ প্রতিনিয়তই বাংলাদেশী মানুষদেরকে হত্যা করে। বাংলাদেশের বাজার আজ ভারতীয় পণ্যে সয়লাব। আর এসব বন্ধুত্বের চিত্র নয়। আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক চাই এবং ভারতের সাথে সম্প্রীতি রেখে এগিয়ে যেতে চাই। তার জন্য আমরা ভারতের সহযোগিতা চাই। এদিকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে ৩০০ আসনের মাঝে ১৫৩টি আসনেই কোনো নির্বাচন হয়নি। এসব আসনের সংসদ সদস্যরা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। বিএনপি জোট এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ফলে অংশীদারিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমানে সংসদের বিরোধী দল আবার সরকারেরই অংশ। আমরা আশা করব, এদেশ হবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের একটি উৎকৃষ্ট মডেল।
১৯৭১ সালের মহান মুত্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছে। কিন্তু এখনো এই ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করা হয়নি। অথচ তাদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদেরকে স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা জীবন দিয়েছে, তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি। আমরা ১৬ কোটি মানুষের আদম শুমারী করেছি, ৮ কোটি ভোটারের তালিকা করেছি, ৮ কোটি মানুষের পরিচয়পত্র তৈরি করেছি কিন্তু ত্রিশ লাখ শহীদের তালিকা এখনো করা যায়নি। আমি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা ত্রিশ লাখ মানুষের তালিকা তৈরি করে তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি শহীদ যাদুঘর করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। আর ত্রিশ লাখ শহীদের ডাটাবেজ তৈরির জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করছি। প্রত্যেক পাড়ায় কতজন মানুষ ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছে ঐ পাড়ার লোকজন তা অবশ্যই জানেন। এভাবে সহজেই একটি পাড়ার শহীদদের তালিকা বের হবে। সুতরাং একটি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পাড়ার শহীদের তালিকা যোগ করলে একটি গ্রামের শহীদের তালিকা হয়ে যাবে। এভাবে একটি উপজেলার অন্তর্ভুক্ত সকল গ্রামের শহীদদের তালিকা যোগ করলে একটি উপজেলার সকল শহীদের তালিকা বের হবে। আর দেশের সকল উপজেলার শহীদের তালিকা যোগ করলে ১৯৭১ সালে দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সকল শহীদের তালিকা নির্ণয় হয়ে যাবে। তাছাড়া ১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের কোনো না কোনো আত্মীয়-স্বজন এবং উত্তরাধিকারী এখনো তো বেঁচে আছেন। তারা সহজেই শহীদদের নাম ঠিকানা সরকারের কাছে জমা দিতে পারেন। প্রত্যেক উপজেলার শহীদের জন্য ঐ উপজেলায় একটি শহীদ স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হউক। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতার পাশাপাশি ত্রিশ লাখ শহীদের জন্যও ভাতা চালু করা হউক। আমি ত্রিশ লাখ শহীদের নাম ঠিকানার লিস্ট করে তাদের জন্য শহীদী ভাতা চালু করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
সমস্যার কথা বলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। আমাদের চারপাশে আজ যেসব সমস্যা, তা দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অতীতের যা কিছু ভুল এবং অন্যায়, তাকে চিরতরে বিদায় করে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য সর্বদা প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। ঘনত্বের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এই দেশেই বসবাস করে। এ জনগণকে আজ সম্পদে পরিণত করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জনশক্তি আমদানি করে। আর আমরা আমাদের জনগণকে বিদেশে রপ্তানি করি। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় আশি লাখ মানুষ বিদেশে কর্মরত আছে। তাদের পাঠানো অর্থে সচল আমাদের অর্থনীতির চাকা এবং সচল আমাদের উন্নয়নের চাকা। সুতরাং জনসংখ্যা রপ্তানির এই খাতকে আজ গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশের বাজারে আমাদের জনগণ যেন অধিক হারে প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে যেন নির্বিঘেœ কাজ করতে পারে, তার জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে। এদেশেই আমরা জন্মেছি, এদেশেই আমরা বসবাস করব এবং এদেশকেই আমাদের গড়তে হবে। তাই নিজেদের কল্যাণের স্বার্থেই আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করি। মনে রাখতে হবে ঐক্যেই শক্তি, ঐক্যেই শান্তি। ঐক্যবদ্ধ জাতি মানেই ঐক্যবদ্ধ শক্তি। অপরদিকে অনৈক্য মানে বিভক্তি, যা একটি জাতিকে দিন দিন কেবল দুর্বল করে। সবদিকে কেবল ক্ষতি বয়ে আনে। সুতরাং শান্তি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্থায়ীত্ব ও বিকাশের স্বার্থে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আসুন মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিই এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করি। আসুন উন্নয়নের সাথে সাথে সুশাসন নিশ্চিত করি। আসুন জনগণের মাঝ থেকে হিংসা, বিদ্বেষ এবং হানাহানি দূর করি। গড়ে তুলি সাম্য, সম্প্রীতি এবং ভাতৃত্বের বন্ধনে আলোকিত একটি সমাজ। তাহলেই কেবলমাত্র আমাদের দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হবে। বিজয়ের হাসিতে উদ্ভাসিত হউক সকলের মুখ, এটাই আজকের প্রার্থনা।
লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন