বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ইশরাকসহ বিএনপির ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৭

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০২২, ১২:১৭ পিএম

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়ে‌ছে।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর মাহিলাড়ায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় পাল্টা হামলা এবং আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বিএনপ’র বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে শনিবার (৫ নভেম্বর) গাড়ি বহর নিয়ে বরিশাল আসছিলেন ঢাকা দক্ষিনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকা অতিক্রমকালে স্থানীয় যুব ও ছাত্রলীগ নেতারা তাদের বহর গতিরোধ করে। তারা আকস্মিক হামলা চালিয়ে বহরের ৮টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। হামলায় বহরের গাড়িতে থাকা ঢাকা দক্ষিনের ৩৮নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, মামুন ভূঁইয়া রকি, মো. রাসেল, বাবুল হোসেন ও খোকন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান হোসেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন আহত হয়।
এক পর্যায়ে বহরের গাড়ি থেকে নেমে বিএনপির লোকজন হামলাকারীদের প্রতিরোধ করে। তারা পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং যুব ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় স্থানীয় যুব ও ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক বিলাশ কবিরাজকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে প্রধান, বরিশাল জেলা (উত্তর) যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টু ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সজল সরকারসহ ৭০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে গৌরনদী থানায় মামলা করেন আওয়ামী লীগ কর্মী পরিবহন শ্রমিক রাসেল রাঢ়ি।

দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩০৭, ৪২৭, ১১৪-সহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ১৯০৮ এর ৩, ৪ ও ৫ ধারায় বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে মারধর, অফিস ভাঙচুর এবং পেট্রোল বোমা হামলা করার অভিযোগ করা হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক শাহজাহানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে আজ ররিবার বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন।

এদিকে, এ মামলায় গ্রেফতার এড়াতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা আত্মগোপন করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার ২ নম্বর আসামি বদিউজ্জামান মিন্টু। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন বরিশালের গনসমাবেশস্থলে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে। উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশে মামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বিএনপি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ওই হামলা-পাল্টা হামলার আগে একই স্থানে ওইদিন সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রীদের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই স্থানে গত শুক্রবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রিয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের বরিশালমুখি গাড়ি মাহিলাড়া থেকে ঢাকার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইশরাক হোসেনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন।

তিনি জানান, পেনাল কোড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া গৌরনদী উপজেলার বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার ও জাফরসহ নামধারী ৭০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন