বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার বাদী জনিকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্বামীবাগের বাসা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জনির স্ত্রী শাহনাজ মুক্তা।
তবে এ সময় বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাকের ফেসবুক পেজ থেকে একটি লাইভ করা হয়েছে। সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সেই লাইভে দেখা যাচ্ছে- একটি পুলিশের গাড়িকে আটকের চেষ্টা করছেন ইশরাকসহ কয়েকজন যুবক। তবে এতে তারা ব্যর্থ হন। ওই সময় পুলিশের গাড়িটি না থেমে গলির রাস্তা ধরে চলে যায়।
জনির স্ত্রী শাহনাজ মুক্তা জানান, সোমবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে শামসুল আলম নামের ওয়ারী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা তার বাসায় আসেন। এসময় মামলা প্রসঙ্গে কথা বলতে হবে বলে সাথে যেতে বলেন তিনি। তবে জনি তাতে রাজি না হলে ৩৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ বুলবুলের বাসার নিচে গিয়ে কথা বলবে বলে বাসা থেকে বের হন। পরে সেখানে গেলে আরও পুলিশ সদস্যরা এসে জোর করে তাকে গাড়িতে তোলে। এসময় সেখানে থাকা লোকজন তাকে কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চেয়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলতে চাইলে গাড়ি টেনে চলে যায়।
জনিকে তুলে নেওয়া হচ্ছে-এমন খবর শুনে সেখানে ছুটে যান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি যেতে যেতেই জনিকে নেওয়া পুলিশ ভ্যানটি দ্রুতগতিতে চলে যায়।
পরে ইশরাক হোসেনের ফেসবুক পেজে জনিকে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ওয়ারী থানার পুলিশ ভ্যানটি দ্রুতগতি চলে যাচ্ছে। বেশ কিছু লোকজন বা দলীয় নেতাকর্মী গাড়ির গতি রোধ করা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
জনিকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে জনির স্ত্রী জানান, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ওপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়। সে ঘটনায় আহতও হয়েছিরেন মামলার বাদী জনি।
ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের এডিসি কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না তা আমি জানি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন